শেষ আপডেট: 27th July 2024 14:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জবরদখল রুখতে হকার অভিযান এক মাস বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্দিষ্ট এই সময়সীমার মধ্যে চলে হকার সমীক্ষা। শনিবার সেই এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর প্রস্তুত প্রথম পর্যায়ের সমীক্ষা রিপোর্ট। দ্বিতীয় পর্যায়ের সমীক্ষা করতে ইতিমধ্যে রাজপথে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।
কলকাতা ও শহরতলির যত্রতত্র রাস্তার দু’পাশে ফুটপাথ দখল করে গজিয়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের দোকান। কেন ঠিকঠাক নাগরিক-পরিষেবা মিলছে না, সেবিষয়েই গত ২৪ জুন নবান্নের বৈঠকে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ভর্ৎসনার মুখে পড়েন তাবড় নেতা কাউন্সিলর থেকে শুরু করে পুরসভার নানা স্তরের কর্তাব্যক্তিদেরও।
এরপরই কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয় ফুটপাত দখলকারী হকারদের সরানোর কাজ। টানা তিন দিন ধরে হকার উচ্ছেদের পর, তা ১ মাস বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে সার্ভে চালানোরও কথাও বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো শুরু হয় হকার সমীক্ষা। শনিবার জবরদখল সরাতে মমতার বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হল।
গড়িয়াহাট, নিউ মার্কেট সহ শহরের বিভিন্ন রাস্তার হকারদের থেকে নেওয়া হয় তথ্য। নির্দিষ্ট ফর্মে লেখা হল হকারদের যাবতীয় তথ্য। ইতিমধ্যে প্রথম পর্যায়ের সমীক্ষা শেষ হয়েছে। সেই রিপোর্ট কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুনর্বাসন বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং মেয়র পারিষদ (হকার পুনর্বাসন) দেবাশিস কুমারকে নিয়ে গঠিত পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি এবং পুলিশ শহরের রাস্তায় অভিযান চালায়।