শেষ আপডেট: 11th January 2022 11:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কারও অহংকারে মাটিতে পা পড়ে না। কারও আবার আনন্দে। তবে আজ যার কথা হচ্ছে তার আনন্দ বা অহং কোনওটাই নেই। তবু মাটিতে পা ফেলে না সে। সবজে গাছের ডগাতেই তার বাস। নীল আকাশের বুকে দুই ডানা মেলে দিয়ে সে দিন কাটিয়ে দেয়। আর দিন শেষে ফিরে আসে ছোট্ট বাসায়, মাটি থেকে যা ১০০ ফুট উঁচুতে। মাটির পৃথিবীকে তাই ছুঁয়ে দেখার দরকারই পড়ে না ওদের।
কথা হচ্ছে হরিয়াল পাখিকে নিয়ে। ভারতেই বনে বাদাড়ে ঘুরে বেড়ায় এই পাখি। কিন্তু তারা কখনও মাটিতে পা রাখে না। নীচে নামেই না। আকাশে আর গাছের ডগায় জীবন কেটে যায় হরিয়ালদের।
হলদে আর সবুজে মেশানো রঙ দিয়ে আঁকা তাদের পালক। অনেকটা যেন পায়রার মতোই দেখতে। তবে চেহারার আদল সাধারণ পায়রার চেয়ে অনেকটা বড়। এই পাখি আকারে প্রায় তিন ফুট হয়। মেয়ে হরিয়ালরা ছেলেদের চেয়ে আকারে খানিক বড় হয়।
হরিয়াল পাখির আরও একটা বৈশিষ্ট্য হল এরা অনেকদিন বাঁচতে পারে। এক-একটি হরিয়াল বাঁচে প্রায় ২৬ বছর পর্যন্ত।
দিনরাত না হয় আকাশেই কাটল, কখনও কি মাটিতে নামার দরকার পড়ে না। জলটুকুও কি খায় না হরিয়াল? উঁচু পিপুল বা ডুমুর জাতীয় গাছের উপর বাসা বাঁধে ওরা। তেষ্টা অবশ্য পায়, তবে জল খেতে নীচে নামতে হয় না। গাছের ফলের গায়ে যে শিশিরবিন্দু জমে থাকে সেসব খেয়েই পিপাসা মিটিয়ে ফেলে।
হরিয়াল সাধারণত মহারাষ্ট্রের পাখি। উত্তরপ্রদেশের কোথাও কোথাও হরিয়ালদের দেখা পাওয়া যায়। এছাড়া পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কাতেও এই পাখি আছে। গাছে গাছে ঘুরেই ওরা সারাদিন কাটিয়ে দেয়।