শেষ আপডেট: 28th August 2024 11:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিজেপি ডাকা বাংলা বনধকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চরমে পৌঁছল ভাটপাড়ায়। সেখানে গুলি চলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই ঘটনায় এক জন আহত হয়েছেন। কে বা কারা গুলি চালিয়েছে তা স্পষ্ট না জানা গেলেও ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিং তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।
মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে থাকা প্রতিবাদীদের ওপর পুলিশ অত্যাচার করেছে এই অভিযোগ তুলে বাংলা বনধের ডাক দেয় বিজেপি। বুধবার সকাল থেকে তাই রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর আসছে। তবে একমাত্র ভাটপাড়া থেকেই গুলি চলার খবর এসেছে এখনও পর্যন্ত। বিজেপি নেতা অর্জুন সিং-এর দাবি, তৃণমূল বোমা-গুলি জোগাড় করে রেখে এখন হামলা চালাচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, ঘোষপাড়া মোড়ের কাছে বিজেপি কর্মীদের গাড়ি আটকানো হয়। তারপর অন্তত ছ’ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাতে জখম হয়েছেন তিনজন। এর মধ্যে দুই বিজেপি নেতা ছাড়া একজন গাড়ির চালক।
অর্জুন সিং সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন, সোমনাথ শ্যাম ও তরুণ সাউয়ের নির্দেশে এই গুলি চালানো হয়েছে। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন ওই বিজেপি কর্মী। আর গাড়ির চালকের কানের পাশ দিয়ে গুলি চলে গেছে বলেও জানিয়েছেন বিজেপি নেতা। আহত বিজেপি কর্মীকে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিজেপির এই অভিযোগ স্বাভাবিকভাবেই অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাঁদের পাল্টা দাবি, এই ধরনের ঘটনা ঘটলেই বিজেপি তৃণমূলের দিকে ঠেলে দেয়। আসলে বিজেপি পাশে মানুষ নেই। তাই অরাজকতা তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে।
বনধের জেরে সকাল থেকে কলকাতা সহ একাধিক জেলায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বহু জায়গায় রেল অবরোধ করা হয়েছে। কলকাতাতেও মেট্রো বন্ধের চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলে সার্বিকভাবে ব্যাহত হচ্ছে ট্রেন পরিষেবা। বনধের জেরে বারাসতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। ট্রেন অবরোধ ঘিরে তৃণমূল-বিজেপি খণ্ডযুদ্ধ হয়েছে। চলেছে ভাঙচুরও। সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বারাসত স্টেশন এবং তার আশেপাশের চত্বর। বিজেপি কর্মীরা লোকাল ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে অবস্থান করেন, কেউ তার মাথার ওপর উঠে যান। এরপরই তাঁদের বাধা দিতে আসে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। শুরু হয়ে যায় সংঘর্ষ।
পাশাপাশি সোনারপুরে বিজেপির ট্রেন অবরোধ ঘিরেও উত্তেজনা ছড়ায়। রেল লাইনের উপর শুয়ে পড়েন কয়েকজন কর্মী, তাঁদের তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। পরবর্তী সময়ে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা, ধস্তাধস্তিও হয়। কৃষ্ণনগরেও কার্যত একই ছবি ধরা পড়েছে। সেখানেও রেল পরিষেবা স্বাভাবিক নয়। পাশাপাশি লক্ষীকান্তপুরে ওভারহেড তারে কলাপাতা দেওয়ার ফলে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে।