শেষ আপডেট: 11th September 2021 11:32
গুজরাতে ভোটের একবছর আগে আচমকা পদত্যাগ মুখ্যমন্ত্রী সহ পুরো মন্ত্রিসভার
দ্য ওয়াল ব্যুরো : শনিবার বিকেলে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর পদটি ত্যাগ করলেন বিজেপি নেতা বিজয় রূপানি (Vijay Rupani)। তাঁর সঙ্গে পুরো মন্ত্রিসভাই পদত্যাগ করেছে। আগামী বছরের শুরুর দিকেই ভোট হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে। তার আগে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগে আশ্চর্য হয়েছেন অনেকে। ঠিক কী কারণে তিনি পদত্যাগ করলেন জানা যাচ্ছে না। শুক্রবারই বিজয় রূপানি হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, "যারা হিন্দু মেয়েদের ফাঁদে ফেলে এবং গোপনে বিয়ে করে, তাদের ছাড়বে না আমাদের সরকার।" আমেদাবাদের বৈষ্ণোদেবী সার্কেলে এদিন তিনি মালদহরি সম্প্রদায়ের জমায়েতে ভাষণ দেন। ওই সম্প্রদায়ের মানুষ প্রধানত গরু পালন করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যারা গোহত্যায় যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে বিজেপি সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "আমার সরকার কয়েকটি কঠোর আইন তৈরি করেছে। গোরক্ষা, জমি দখল এবং ছিনতাই, সব অপরাধেই কড়া শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।" এরপরে তিনি বলেন, "আমরা লাভ জিহাদ বন্ধের জন্য আইন এনেছি। যারা হিন্দু মেয়েদের ফাঁদে ফেলে, গোপনে তাদের বিয়ে করে, সেই দুষ্কৃতীদের আমরা ছাড়ব না।" কয়েকমাস আগে গুজরাতের 'লাভ জেহাদ' বিরোধী আইনের ছ'টি ধারা এখনই প্রয়োগ করতে নিষেধ করেছে হাইকোর্ট। তার মধ্যে একটি ধারায় অভিযুক্তকেই প্রমাণ করতে হয়, সে নিরপরাধ। হাইকোর্ট এক অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে বলে, ভিন্ন ধর্মের মধ্যে বিবাহে যদি বলপ্রয়োগ বা প্রতারণার প্রমাণ না থাকে, তাহলে লাভ জেহাদ আইন প্রয়োগ করা যাবে না। বিচারপতিরা স্পষ্ট বলেছেন, "ভিন্ন ধর্মের নারীপুরুষ যদি পরস্পরের সম্মতিতে বিবাহ করে, কাউকে লোভ দেখানো বা প্রতারণা না করা হয়, তাহলে বলা যাবে না যে, ধর্মান্তরের উদ্দেশ্যে ওই বিবাহ হয়েছিল।" ২০২১ সালে গুজরাতের লাভ জেহাদ আইনে কিছু সংশোধন করা হয়। তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে এক ব্যক্তি বলেছিলেন, ওই সংশোধনীতে ব্যক্তিস্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। বিচারপতিরা বলেন, "লাভ জেহাদ আইনের ছ'টি ধারা নিয়ে আগামী দিনে শুনানি হবে। এক ধর্মের ব্যক্তি যদি অপর ধর্মের কাউকে প্রতারণা না করে বিবাহ করেন, তাকে বেআইনি ধর্মান্তরের উদ্দেশ্যে বিবাহ বলা যায় না।"