শেষ আপডেট: 4th March 2025 16:32
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জিটিএ নিয়োগ দুর্নীতি মামলা (GTA Scam Case) থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu)। কিন্তু সেই মামলা তাঁর এজলাসেই ফেরত পাঠিয়ে দিলেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। আগামী শুক্রবার এই মামলার শুনানি রয়েছে।
রাজ্যের ভূমিকায় হতাশা প্রকাশ করে এই মামলা থেকে সরেছিলেন বিচারপতি বসু। রাজ্যের উদ্দেশ্য নিয়েও একাধিক প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। কিন্তু মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ফের মামলাটি তাঁর এজলাসেই পাঠিয়ে দেন। কিন্তু কেন এই মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু?
আসলে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তর বক্তব্য ছিল, এই মামলা শোনার এক্তিয়ার এই আদালতের নেই। এই মামলার শোনার এক্তিয়ার জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের। এই মন্তব্যেই কার্যত ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি স্পষ্ট জানান, যেহেতু অ্যাডভোকেট জেনারেল তাঁর এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাই এই মামলা থেকে তিনি অব্যাহতি নিলেন।
অন্যদিকে আবেদনকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য পাল্টা অভিযোগ করে বলেছিলেন, আদালতকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি বসুর এজলাসেই। পরবর্তীকালে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে এই মামলা বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের এজলাসে উঠলে তিনি রেজিস্ট্রার মারফৎ সমস্ত মামলার শুনানি পাঠিয়ে দেন মূল বেঞ্চ অর্থাৎ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। তাই এই মামলা শোনার এক্তিয়ার এই এজলাসের রয়েছে।
এই দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, বিনয় তামাংয়ের। দুর্নীতি মামলার তদন্ত নিয়ে অভিযোগ দায়েরের পর কেন অভিযুক্তদের ৪১/এ ধারার নোটিস দিয়ে ডাকা হল না, পুরো ঘটনার ক্ষেত্রে অভিযোগের ভিত্তিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এই ধরনের প্রশ্ন উঠেছে এই মামলায়।