শেষ আপডেট: 8th October 2023 14:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা সহ একাধিক প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। সেই বকেয়া আদায়ের দাবি তুলে রাজভবনের অদূরেই ধর্নায় বসেছে তৃণমূল। নেতৃত্বে রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজভবনের সামনে ধর্নার অনুমতি কীভাবে পেল তৃণমূল, এবার সরাসরি রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে কৈফিয়ত তলব করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
শনিবার দার্জিলিংয়ে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে এসেছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। জানা গিয়েছিল, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রদীপ মজুমদার, মহুয়া মৈত্রদের রাজ্যপাল আশ্বাস দিয়েছিলেন, শিগগির তিনি কলকাতায় ফিরবেন। তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও দেখা করবেন। সূত্রের খবর, রবিবার বিকেলেই রাজ্যপাল কলকাতায় ফিরতে পারেন।
অনেকেই মনে করেছিলেন, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে তৃণমূল ও রাজ্যপালের মধ্যে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে তা কাটাতে চাইছেন রাজ্যপাল। কিন্তু কলকাতা ফেরার আগেই রাজভবনের তরফে একটি চিঠি গেল মুখ্যসচিবের কাছে। সেখানে তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
রাজভবনের সামনে তৃণমূলকে ধর্না করার অনুমতি কে দিল? যেহেতু রাজভবনের সামনে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে, তাই সেখানে কীভাবে ধর্না মঞ্চ বাঁধল তৃণমূল? আইনের একাধিক ধারা তুলে এইসব প্রশ্নের জবাব মুখ্যসচিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে রাজভবন সূত্রে খবর।
রাজভবন চিঠিতে আরও উল্লেখ করেছে, ধর্না মঞ্চ সরাতে রাজ্য প্রশাসনের তরফে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? এখানে কি কোনও আইন ভাঙা হয়েছে? সবকিছুই অবিলম্বে রাজভবনকে জানাতে বলা হয়েছে।
এদিকে, বিজেপির তরফেও একই প্রশ্ন করা হয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন যে, রাজ্যপাল যদি সোমবারের মধ্যে এই ধর্না নিয়ে কোনও ব্যবস্থা না নেন, তবে তাঁরাও রাজভবন অভিযান করবেন। দেখা গেল, বিজেপির এই হুঁশিয়ারির মধ্যেই রাজভবন চিঠি দিল মুখ্যসচিবকে।
পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, দু'টো বিষয় কাকতালীয় হতে পারে। আবার নাও হতে পারে। বিজেপির হুঁশিয়ারির পরই রাজ্যপাল ধর্না নিয়ে চিঠি দিলেন। তৃণমূলের একাংশের বক্তব্য, এতদিন তো রাজ্যপাল এই ধর্না কর্মসূচি নিয়ে কিছু বলেলনি। শুভেন্দু-সুকান্তর কথার পরই তিনি চিঠি লিখলেন। বোঝাই যাচ্ছে বিজেপির কথাতেই চলছেন রাজ্যপাল।