ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 19 April 2025 07:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) পরিদর্শনে গিয়ে ঘরছাড়াদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। তাঁর সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতদের পরিবারের সদস্যরা। ঘরছাড়ারাও অভিযোগের সুরে বলেন, এখনও তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছে। এলাকা ছেড়ে চলে না গেলে ক্ষতি করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পীড়িতদের সব অভিযোগ শুনে রাজভবনের পিসরুমের ফোন নম্বর দিয়েছেন রাজ্যপাল। বলেছেন, সমস্যা মনে হলেই যেন তাঁকে ফোন করা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে অনুরোধের সুরে বার্তা দিয়েছিলেন যাতে এখনই কেউ মুর্শিদাবাদ বা মালদহে না যান। তবে রাজ্যপালে সেই বার্তা গ্রাহ্য করেননি। নির্দিষ্ট সূচি মেনেই তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। শুক্রবার মালদহে গেছিলেন তিনি। আর শনিবার মুর্শিদাবাদের নানা এলাকা ঘুরে দেখেন। পরিদর্শনে বেরিয়ে প্রথমেই জাফরাবাদে নিহত হরগোবিন্দ এবং চন্দন দাসের বাড়িতে যান রাজ্যপাল। তারপর ওই এলাকায় আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেন। রাজ্যপালের সামনে সকলে কান্নায় ভেঙে পড়ে জানান ক্রমাগত হুমকির কথা। এলাকায় বিএসএফ ক্যাম্পেরও দাবি করা হয়।
রাজ্যপাল আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে প্রথমেই শান্তি ফেরানোর বার্তা দেন। বলেন, শান্তি ফেরানোই মূল লক্ষ্য। তাতে জোর দিতে হবে। আর এর জন্য রাজ্য সরকারের উচিত উপযুক্ত পদক্ষেপ করা। প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকায় হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল। সুতি, ধুলিয়ান থেকে শুরু করে সামশেরগঞ্জ, সর্বত্র কার্যত তাণ্ডব চলেছিল ওয়াকফ আইন বিরোধীদের। এই পরিস্থিতিতেই এলাকা পরিদর্শনের জন্য বেরিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
বর্তমানে রাজ্যে রয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। তাঁরা একাধিক এলাকায় গিয়ে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেছেন। রাজ্যপালও সেই ভূমিকা নিয়েছেন। মুর্শিদাবাদের অশান্তিতে যাঁরা ঘরছাড়া হয়েছেন বলে অভিযোগ, তাঁদের একাংশকে নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাজভবনে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ অন্যরা। রাজ্যপালের কাছে তাঁরা পাঁচ দফা দাবি পেশ করেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, সেই অনুরোধে সাড়া দিয়েই রাজ্যপাল মালদহ-মুর্শিদাবাদ সফরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।