সিভি আনন্দ বোস
শেষ আপডেট: 19 April 2025 13:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তবে এলাকাবাসী এখনও আতঙ্কে রয়েছেন। তাঁদের মানসিক অবস্থা স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। ওয়াকফ অশান্তির পর মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা পরিদর্শন করে এমনই পর্যবেক্ষণ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose)। তবে তিনি আশাবাদী, খুব শীঘ্রই জেলার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
মুর্শিদাবাদে বিগত কয়েক দিন ধরে ব্যাপক তাণ্ডব হয়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পুলিশের ওপর হামলা হয়। বাড়ি-দোকানপাট ভাঙচুর থেকে শুরু করে খুন, সবই হয়েছে। এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাড়তি পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয় জেলায়। এখনও পর্যন্ত আধাসেনার টহল চলছে জেলায়। রাজ্যপাল স্পষ্ট বলছেন, বর্তমানে পুলিশ ও আধাসেনা মোতায়েনের পর মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিন এলাকা পরিদর্শনের সময়ে রাজ্যপালকে তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা জানান এলাকার বাসিন্দারা। জানান, তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে ক্রমাগত। এলাকা ছেড়ে চলে না গেলে ক্ষতি করা হবে বলে ভয় দেওয়া হচ্ছে। এলাকাবাসীর এও দাবি, বিএসএফ যতদিন আছে ততদিন তাঁরা সুরক্ষিত। তাঁরা চলে গেলেই ফের হামলা হতে পারে তাঁদের ওপর। তাই স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্পই সমস্যার সমাধান করতে পারে।
রাজ্যপাল আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে প্রথমেই শান্তি ফেরানোর বার্তা দিয়েছিলেন। বলেছেন, রাজ্য সরকারের উচিত উপযুক্ত পদক্ষেপ করা। এছাড়া আক্রান্তদের রাজভবনের পিসরুমের ফোন নম্বর দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, স্থানীয়দের বিএফএফ ক্যাম্পের দাবি শুনে তিনি বলেন, মানুষ কতটা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তা বোঝা যাচ্ছে। তাঁরা অনেক পরামর্শ দিয়েছেন এবং সেগুলি বিবেচনা করা হবে। জেলা সফর সেরে শনিবারই কলকাতায় ফিরবেন রাজ্যপাল। অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদে গেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার ও মালদহ দক্ষিণের সাংসদ ইশা খান চৌধুরী। তাঁরাও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলবেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে অনুরোধের সুরে বার্তা দিয়েছিলেন যাতে এখনই কেউ মুর্শিদাবাদ বা মালদহে না যান। তবে রাজ্যপালে সেই বার্তা গ্রাহ্য করেননি। নির্দিষ্ট সূচি মেনেই তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। শুক্রবার মালদহে গেছিলেন তিনি। আর শনিবার মুর্শিদাবাদের নানা এলাকা ঘুরে দেখেন। এখন দেখা গেল, বিরোধী দলের প্রতিনিধিরাও মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি রাখছেন না।