ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 19 April 2025 10:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) জেলা পরিদর্শনে এসেছেন। অথচ মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বেতবোনা গ্রামের বাসিন্দারা অভিযোগ করেছিলেন যে পুলিশ তাঁদের রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি। এই ইস্যুতে বিক্ষোভও দেখান এলাকার বাসিন্দারা। সেই বিক্ষোভের কিছু পরেই ঘটনাস্থলে যান বোস। সেখানে গিয়ে সকলের অভাব-অভিযোগ শোনেন তিনি।
বেতবোনা গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ ছিল, এলাকার ওপর দিয়ে গেলেও রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। পুলিশ রাজ্যপালের গাড়িকে দাঁড়াতেই দেয়নি। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য ছিল, অন্যান্যদের মতো তাঁরাও রাজ্যপালকে সমস্যার কথা জানাতে চেয়েছিলেন। তাঁদেরকেও ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং ওই এলাকাতেও স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প চান তাঁরা। কিন্তু এইসব দাবির কথা তাঁরা জানাতেই পারেননি রাজ্যপালকে।
বিক্ষোভের কথা অল্প সময়ের মধ্যেই জানতে পারেন রাজ্যপাল বোস। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি তাঁর কনভয় ঘুরিয়ে চলে যান বেতবোনায়। জানা গেছে, রাজ্যপালকে সামনে পেয়েই নিজেদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা কাগজে লিখে তাঁকে দেন এলাকাবাসী। কিন্তু প্রথমে কেন রাজ্যপাল ওই এলাকায় দাঁড়ালেন না? গোটা বিষয় নিয়ে পুলিশের পাল্টা যুক্তি, রাজ্যপাল কোথায়-কোথায় যাবেন তা ঠিক করে দেয় রাজভবন। যেখানে সেখানে মনে হলেই দাঁড়াতে পারে না তাঁর গাড়ি, তিনি নেমে ওইভাবে কথা বলতে পারেননি।
এদিন জেলার বহু মানুষ রাজ্যপালের সামনে সকলে কান্নায় ভেঙে পড়েন। জানান, তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে ক্রমাগত। এলাকা ছেড়ে চলে না গেলে ক্ষতি করা হবে বলে ভয় দেওয়া হচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবি, বিএসএফ যতদিন আছে ততদিন তাঁরা সুরক্ষিত। তাঁরা চলে গেলেই ফের হামলা হতে পারে তাঁদের ওপর। তাই স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্পই সমস্যার সমাধান করতে পারে।
মুর্শিদাবাদের আক্রান্ত সাফ বলছেন, প্রথম থেকেই পুলিশের ভূমিকা ছিল নগণ্য। হামলার সময়ে এলাকায় দেখাই যায়নি তাঁদের। তাই এলাকায় পুলিশ থাকা-না থাকা তাঁদের কাছে সমান। এই কারণেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ক্যাম্প তাঁদের নিরাপত্তার ইস্যুতে কার্যত আবশ্যিক হয়ে উঠেছে।
স্থানীয়দের বিএফএফ ক্যাম্পের দাবি শুনে তিনি বলেন, বোঝাই যাচ্ছে এলাকার মানুষ কতটা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাঁরা অনেক পরামর্শ দিয়েছেন এবং সেগুলি বিবেচনা করা হবে।