শেষ আপডেট: 14th August 2024 20:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি করের ঘটনায় মুখ খুলে নারী সুরক্ষা আরও সুনিশ্চিত করার বার্তা দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ইতিমধ্যে তিনি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বৈঠক ডেকেছেন। ছাত্রীদের পাশাপাশি মহিলা কর্মী এবং নন-টিচিং স্টাফরা যাতে আরও বেশি সুরক্ষা পায়, সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে, এমনই বার্তা তাঁর।
রাজ্য পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছিল। কিন্তু মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট আরজি কর ইস্যুতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। ইতিমধ্যে দিল্লি থেকে বিশেষ দল কলকাতায় এসে তদন্ত শুরুও করে দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে রাজ্যপাল পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হন। তিনি বলেন, ''কলকাতা পুলিশ সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। শুধু এই ঘটনা নয়, সামগ্রিকভাবে ক্যাম্পাসের মধ্যে যে সমস্ত অপরাধ হয় তাও তাঁরা কমাতে ব্যর্থ।'' রাজ্যপাল এও জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার তিনি আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলবেন।
আরজি করের ঘটনাকে 'মানবতা বিরোধী অপরাধ' বলে ব্যাখ্যা করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর কথায়, এটা রাজ্যের তো বটেই, দেশের লজ্জা, মানবতার লজ্জা। রাজ্যপাল বলছেন, যে ভয়ঙ্কর অপরাধ ঘটেছে তার জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই দরকার। এমন ঘটনা তো এই প্রথম নয়, এর আগে একাধিকবার ঘটেছে। তাই এই ধরনের ঘটনায় আরও কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তবে রাজ্য বা কলকাতা পুলিশের ব্যর্থতা তাঁকে ভাবাচ্ছে বলেও স্পষ্ট করে দেন রাজ্যপাল।
বুধবার সকালেই কলকাতা এসে পৌঁছে কাজ শুরু করেছে সিবিআই টিম। আরজি করে ঢুকে সোজা চারতলায় পৌঁছে যায় সিবিআই টিম, নমুনা সংগ্রহ করার জন্য। ওই তলাতেই রয়েছে সেমিনার হল, যেখান থেকে শুক্রবার সকালে উদ্ধার হয় তরুণী ডাক্তারের ধর্ষিত দেহ। সকালেই পুলিশের থেকে এই মামলা সংক্রান্ত বাকি নথি সংগ্রহ করেছে এবং একাধিক দলে ভাগ হয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কেও হেফাজতে নিয়ে নিয়েছে তারা। সমস্ত নথিপত্র এবং সাক্ষীদের বয়ান কেন্দ্রীয় সংস্থাকে হস্তান্তর করে দিয়েছে পুলিশ।
আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন মামলার তদন্তে কলকাতা পুলিশের ভূমিকায় আদালত যে সন্তুষ্ট নয়, তা গতকালই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আরজি করের এবং কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ওঠে আদালতে। এর পরই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।