শেষ আপডেট: 12th February 2024 10:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রবিবার সকালে সন্দেশখালির প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর মুক্তির দাবি জানিয়ে সন্দেশখালিতে সোমবার ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট ডেকেছে সিপিএম। একে শনিবার থেকে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। সঙ্গে দোসর ধর্মঘট। সোমবার সকাল থেকেই সন্দেশখালিতে থমথমে পরিবেশ। শুনশান রাস্তাঘাট, দোকানঘাট কম খুলেছে। ইতিমধ্যে এদিন সকালে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
সোমবার যে তিনি সন্দেশখালির পরিস্থিতি দেখতে যাবেন একথা রবিবার রাতেই জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। যার জন্য কেরল সফর কাটছাঁট করেছেন তিনি। বেঙ্গালুরু হয়ে এদিন সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছন বোস। সেখান থেকে সোজা সন্দেশখালির পথে রওনা হন তিনি। সন্দেশখালি যাওয়ার আগে কলকাতায় এসে তিনি বলেন, ‘’কেরালার গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছেড়ে এসেছি। সন্দেশখলিতে আমার নজর ছিল। আজ নিজে যাচ্ছি। সরেজমিনে পরিদর্শন করবো।’
এদিকে এদিনই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়কদের একটি দল সন্দেশখালি যাবে বলে শোনা যাচ্ছে। ফলে একই দিনে সন্দেশখালিতে রয়েছে একাধিক কর্মসূচি। সেক্ষেত্রে নতুন করে যাতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত না হয় তার জন্য বাড়তি সতর্ক পুলিশ প্রশাসন। নিরাপত্তার চাদড়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে গোটা সন্দেশখালি এলাকা।
গত ৫ জানুয়ারি থেকে শিরোনামে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের সন্দেশখালি। সেখানকার দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে খুঁজতে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে ইডির আধিকারিকরা। তারপর থেকে এখনও বেপাত্তা শেখ শাহজাহান। আর সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শাহজাহান ঘনিষ্ট শিবপ্রসাদ হাজরা এবং উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে গ্রামাবাসীরা। অশান্তির আগুন এখন যেন দাবানলে পরিণত হয়েছে।
গত শুক্রবার নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। ওইদিন রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করতে থাকেন কয়েকশো মহিলা। সন্দেশখালি থানা ঘেরাও করেন তাঁরা। এরপরই শনিবার থেকে কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ময়দানে নামে প্রশাসন। জারি হয় ১৪৪ ধারা।
এরই মধ্যে শনিবার সন্ধে থেকে সন্দেশখালিকাণ্ডে শুরু হয়েছে নয়া ‘টুইস্ট’। ওই দিন দুপুরে শাহজাহান ঘনিষ্ট তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দারকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সন্ধ্যায় তাঁতে গ্রেফতার করা হয়। খানিকক্ষণের মধ্যে থানায় তুলে এনে গ্রেফতার করা হয় স্থানীয় বিজেপি নেতা শঙ্কর সিং-কে। এরপর রবিবার সকালে আচমকাই কলকাতার বাঁশদ্রোণী এলাকা থেকে সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে আটক করা হয়। বসিরহাট থানার একটি দল তাঁকে সন্দেশখালিতে নিয়ে আসার জন্য পৌঁছয়। এরপরই তাঁকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। কার্যত ফেরার শিবপ্রসাদ হাজরার অভিযোগের ভিত্তিতেই এই গ্রেফতারি বলে পুলিশ সূত্রের খবর।