শেষ আপডেট: 27th December 2019 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বালাকোটে ভারতের শক্তিশালী প্রত্যাঘাতে কেঁপে গিয়েছিল পাক জঙ্গি শিবির। প্রতি আক্রমণের এই স্পর্ধা ছিল নাশকতার বিরুদ্ধে মোক্ষম জবাব। ২৬/১১ মুম্বই হামলার জবাবও পাকিস্তানকে এভাবেই দেওয়া যেত, তবে সেটা হয়নি, এমনটাই বলেছেন প্রাক্তন বায়ুসেনাপ্রধান বিএস ধানোয়া। প্রত্যাঘাতের জন্য সবরকমভাবে প্রস্তুত থেকেও কী কারণে পিছিয়ে যেতে হয়েছিল বায়ুসেনাকে, সেটাও স্পষ্ট করেছেন তিনি। মুম্বইয়ের ভিজেটিআই কলেজের বার্ষিক উৎসবে প্রাক্তন এয়ার চিফ মার্শাল বলেন, “২৬/১১ মুম্বই হামলার উচিত জবাব দিতে পারতাম পাকিস্তানকে। তার জন্য সামরিক প্রস্তুতিও ছিল ভারতীয় বায়ুসেনার। কিন্তু পাল্টা আক্রমণের অনুমতি দেয়নি তৎকালীন মনমোহন সরকার।” ধানোয়া আরও বলেন, পাকিস্তানের ঠিক কোথায় কোথায় জঙ্গি শিবির ছিল, তার সব তথ্যই ছিল বায়ুসেনার হাতে। খুব অল্প সময়ের এয়ার স্ট্রাইকে আধুনিক বোম ফেলে সবকটা জঙ্গি ঘাঁটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া যেত। কিন্তু রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের জন্যই পিছিয়ে যেতে হয় বায়ুসেনাকে। প্রাক্তন বায়ুসেনাপ্রধানের আরও দাবি, বরাবরই নানা কারণে পাকিস্তানকে জবাব দিতে দেরি হয়েছে যার ফায়দা লুটেছে এই জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি। ধানোয়া বলেন, ২০০১ সালে সংসদ ভবনে হামলার পরেও জঙ্গিদের উচিত শিক্ষা দিতে প্রস্তুত ছিল বায়ুসেনা। কিন্তু সেবারও একই কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। এ বছরই সেপ্টেম্বরে অবসর নিয়েছেন বিএস ধানোয়া। অবসরের পরেই বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে মুখ খুলেছিলেন তিনি। প্রাক্তন এয়ার চিফ মার্শাল বলেছিলেন, পুলওয়ামার পর ভারত যে বদলা নেবে, পাকিস্তানও আগেভাগেই তা আন্দাজ করতে পেরেছিল। শুধু কবে, কোথায় বদলা নেওয়া হবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একটু সময় নেওয়া হয়েছিল। পুলওয়ামায় যেহেতু জইশ-ই হামলা চালিয়েছিল, তাই শেষমেশ ওদের প্রশিক্ষণ শিবির গুঁড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়। বালাকোটে বেছে বেছে জঙ্গিদের কিছু ঘাঁটিকে নিশানা করে উড়িয়ে দেওয়া হয়। বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার এই প্রত্যাঘাত ছিল পাক জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির কাছে একটা বড় ধাক্কা। আর এই ধাক্কাটাই জঙ্গিদের মনোবল ভেঙে দিতে অনেকটাই কাজে এসেছে।