শেষ আপডেট: 3rd January 2023 11:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মন্ত্রীদের রাজনৈতিক বক্তব্যের দায় সর্বদা সরকারের (Government) উপর চাপানো যায় না। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে।
বিচারপতি এএস নজিরের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ আজ সংশ্লিষ্ট মামলায় আরও বলেছে, কেউ মন্ত্রী (minister) বা জনপ্রতিনিধি বলেই তাঁর বাক স্বাধীনতা খর্ব করা বা বিধিনিষেধ আরোপ করা যায় না। সংবিধানের ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখিত বাক স্বাধীনতা সব নাগরিকের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য।
এই রায়ের সর্বাংশের সঙ্গে সহমত হননি বিচারপতি বিবি নাগরত্না। তিনি বলেছেন, মন্ত্রী তাঁর সরকারি ক্ষমতা বলে কারও অবমাননা করলে তার দায় সরকারকে নিতে হবে।
গতকাল নোটবন্দি নিয়ে মামলার রায়েও বিচারপতি নাগরত্না বাকি বিচারপতিদের সঙ্গে সহমত হননি।
আজ সর্বোচ্চ আদালত যে মামলার রায় দিয়েছে তাতে দাবি করা হয়েছিল, মন্ত্রী এবং বিধায়ক, সাংসদদের বাক স্বাধীনতায় লাগাম দেওয়ার রায় দিক কোর্ট। মামলাকারীর বক্তব্য, রাজনীতি এবং সরকারি ক্ষমতার সুবাদে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা যা ইচ্ছে বলেন। এটা বন্ধ হওয়া দরকার।
মামলার সূত্রপাত ২০১৬ সালে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের একটি গণধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। উত্তরপ্রদেশে তৎকালীন সমাজবাদী পার্টির সরকারের মন্ত্রী আজম খান ধর্ষণের ঘটনাটিকে সরকার বিরোধী চক্রান্ত বলে দাবি করেছিলেন। অর্থাৎ ঘটনাটি আইন শৃঙ্খলার সমস্যা বলে মানতে চাননি তিনি।
আজম খানের ওই বক্তব্য নিয়েই সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। তাতে দাবি করা হয়, মন্ত্রীর এই বক্তব্যের সপক্ষে সরকারকে জানাতে হবে কে বা কারা চক্রান্ত করেছে। মন্ত্রীর কথার দায় সরকারের।
সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, মন্ত্রিসভার যৌথ দায়িত্ব। মন্ত্রী কিছু বললে সরকার দায় এড়াতে পারে না। আজ কোর্ট বলেছে, যৌথ দায়িত্বের কথা বলে মন্ত্রীদের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা যায় না।
৩০০ পথকুকুর নিয়ে থাকতেন বৃদ্ধা, হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় ঘর ভেঙে বের করে দিল পুরসভা