শেষ আপডেট: 23rd January 2024 16:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে রোগীদের নানাবিধ অভিযোগ থাকে। এবার এবিষয়েই রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলির স্বাস্থ্যের হাল ফেরাতে কড়া পদক্ষেপ স্বাস্থ্য ভবনের।
এবার থেকে সকাল ৯টার মধ্যে খুলতে হবে সরকারি হাসপাতালের আউটডোর। শুধু কথার কথা নয়, সরকারি নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হচ্ছে কি না, সকাল ৯টা ১৫ মিনিটের মধ্যে এসএমএসের মাধ্যমে সেকথা জানাতে হবে স্বাস্থ্য ভবনে। শুধু তাই নয়, আউটডোরে কোন কোন চিকিৎসক এসেছেন, কারা অনুপস্থিত রয়েছেন, সেই তালিকাও তখনই এসএমএসের মাধ্যমে জানাতে হবে স্বাস্থ্যভবনকে ।
স্বাস্থ্য ভবনে এই রিপোর্ট পাঠানোর জন্য দায়িত্বে থাকবেন একজন নোডাল অফিসার। তিনি প্রতিদিন হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা সংক্রান্ত পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্টও পাঠাবেন স্বাস্থ্য ভবনে।
মঙ্গলবার এব্যাপারে স্বাস্থ্য ভবন থেকে জেলার হাসপাতালগুলির উদ্দেশে এক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কোনওরকম ঢিলেমি না করে আগামীকাল বুধবার থেকেই এই নির্দেশ কার্যকরীর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতাল সুপারের পাশাপাশি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং প্রতিটি জেলার জেলাশাসকদের এই নির্দেশ পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। তাতে পরিষ্কারভাবে জা্নানো হয়েছে, নির্দেশিকা কেউ তা মানতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানাতে হবে স্বাস্থ্য ভবনে। অর্থাৎ কড়া শাস্তির ইঙ্গিত স্পষ্ট করা হয়েছে।
২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল ফেরাতে তৎপর হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলায় জেলায় একাধিক সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়। বৃহত্তর স্বাস্থ্য পরিষেবার স্বার্থে রাজ্যের তরফে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডও চালু করা হয়।
তারপরও রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে পরিষেবা নিয়ে রোগীদের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। বিশেষত, আউটডোরের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে। সম্প্রতি এব্যাপারে জেলা ভিত্তিক সমীক্ষা চালিয়ে সাস্থ্য দফতরও জানতে পেরেছে যে অনেকক্ষেত্রেই রোগীদের অভিযোগের সত্যতা রয়েছে।
বিশেষত, বহু সরকারি হাসপাতালে নিয়মিত আউটডোর খোলা হয় না বলে অভিযোগ। কিছু জায়গায় আউটডোর চালু থাকলেও চিকিৎসক আসেন দেরি করে। এদিকে রোগীদের লম্বা লাইন পড়ে যাওয়ায় অনেকেই তাড়াহুড়ো করে রোগী দেখেন বলে অভিযোগ।
ফলে সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা মেলে না। জেলাস্তরে একাংশ চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আউটডোরে না বসারও অভিযোগ রয়েছে। তাঁরা স্রেফ ইন্ডোরের রোগী দেখেই দায়িত্ব সারেন বলে শোনা যায়। এসব কারণেই স্বাস্থ্য ভবনের এই কড়া পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।