শেষ আপডেট: 17th October 2024 14:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ডিএ-র দাবিতে টানা ৬৩০ দিন ধরে শহিদ মিনারে ধর্না বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন। এরই মাঝে মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুজোর দিনেই কেন্দ্র তিন শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ বৃদ্ধি করায় কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ডিএ-র ব্যবধান ৩৯ শতাংশ বেড়েছে।
এরই প্রতিবাদে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে এবার জুনিয়র ডাক্তারদের দেখানো পথে আন্দোলনে নামার ইঙ্গিত দিল রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের একাধিক সংগঠন। পাল্টা হিসেবে তৃণমূল প্রভাবিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের তরফে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, পরিস্থিতির জন্য দায়ী কেন্দ্রের বঞ্চনা। তাই কেউ আন্দোলন করতে চাইলে তাঁদের উচিত কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারী কর্মচারী পরিষদের রাজ্য সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, "বিজেপি শাসিত অন্য রাজ্যগুলো কেন্দ্রের সমান ৫৩ শতাংশ হারে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দিয়ে থাকে। বঞ্চনা শুধু বাংলাতেই। আমাদের রাজ্যে ১৪ শতাংশ আর পেন্সিল।"
এ ব্যাপারে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের লাগাতার ধর্না কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়ে দেবাশিসবাবু বলেন, " জুনিয়র ডাক্তারদের দেখে আমাদের শেখা উচিত। নিজেদের দাবি পূরণে অবিলম্বে যৌথ প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা ভীষণভাবে দরকার।"
বস্তুত, বকেয়া মহার্ঘ ভাতা, শূন্য পদে স্থায়ী নিয়োগ , যোগ্য অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী করণের দাবিতে ৬৩০ দিন ধরে শহিদ মিনারে ধর্না আন্দোলন চালাচ্ছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। সংগঠনের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, "রাজ্যের বঞ্চনার প্রতিবাদে এবার আমরা অন্যান্য নাগরিক সংগঠনকে একত্রিত করে একই দিনে পথে নামার পরিকল্পনা করছি। শীঘ্রই পুরোটা জানতে পারবেন।"
যদিও তৃণমূল প্রভাবিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের রাজ্য আহ্বায়ক প্রতাপ নায়েক বলেন, "চলতি বছরে মুখ্যমন্ত্রী দু'বার ডিএ দিয়েছেন। যাঁরা আন্দোলন করছেন ওদের সঙ্গে কর্মচারী নেই। তবু যে কজন আন্দোলনের কথা বলছেন, তাঁদেরকে বলব কেন্দ্রীয় সরকারে বিরুদ্ধে আন্দোলন করুন। কারণ, বাংলার ন্যায্য পাওনা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।" প্রতাপের আরও দাবি, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছত্রছায়ায় বাংলার কর্মচারীরা ভাল আছেন।'