শেষ আপডেট: 10th March 2025 16:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত বছর আরজি কর ইস্যুতে আন্দোলনের সময় কর্মবিরতিতে থাকা একাংশ চিকিৎসকের (Doctors) বিরুদ্ধে বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে চিকিৎসা করার অভিযোগ উঠেছিল। নবান্নে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে এই তথ্য এনেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ইতিমধ্যে ওই ঘটনার তদন্তে নেমে একাধিক চিকিৎসককে শোকজও করেছে রাজ্য (Health department)।
এবার সরকারি চিকিৎসকদের একাংশের বিরুদ্ধে সামনে এল আরও একটি অভিযোগ। অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালের পরিবর্তে রোগীদের নার্সিংহোমে যাওয়ার পরামর্শ দেন একাংশ চিকিৎসক। সরকারি হাসপাতালের চেয়ে বেসরকারি জায়গায় চিকিৎসা পরিকাঠামো-সহ সামগ্রিক পরিষেবা অনেক ভাল বলে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের সামনে গুনগানও গান অনেক চিকিৎসকরা। এমন চিকিৎসকদের চিহ্নিত করার জন্য এবার প্রতিটি জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে খোঁজ নিতে বলল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
ঘটনার সূত্রপাত, সম্প্রতি দক্ষিণ দমদম পুরসভার হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার তথা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ সামনে এসেছে। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত চিকিৎসককে শোকজ করেছে পুরসভা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চিকিৎসক দীপক দাস।
সংশ্লিষ্ট পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের মসজিদ গেটের বাসিন্দা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকেই চিকিৎসক দীপক দাসের কাছে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। তাঁর স্বামী জানান, ১৮ জানুয়ারি স্ত্রীর প্রসবের সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু স্ত্রী অসুস্থ বোধ করায় ১৪ জানুয়ারি রাতে তাঁকে পুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসক দীপক দাস তাঁদের বলেন, শিশু উল্টো দিকে রয়েছে। ফলে পুর হাসপাতালে সিজার করলে সেটা মারাত্মক হতে পারে। তাই তিনি একটি নির্দিষ্ট নার্সিংহোমে অঞ্জলিকে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন।
ওই বধূর স্বামী পেশায় অটো চালক। তিনি পুরো ঘটনা জানান স্থানীয় কাউন্সিলর ইন্দ্রজিৎ গুপ্তকে। তিনি পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপরই অন্য চিকিৎসক দিয়ে প্রসূতির সিজার করানো হয়। একই সঙ্গে অভিযুক্ত চিকিৎসককে শোকজ করে পুরসভা।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, শুধু পুরসভা হাসপাতালে নয়, জেলায় জেলায় সরকারি হাসপাতালের একাংশ চিকিৎসকের বিরুদ্ধেও রোগীকে নার্সিংহোমে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। নানাভাবে তাঁদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়। এবার এই সংক্রান্ত অভিযোগই খতিয়ে দেখা হবে। সেজন্য প্রতিটি জেলায় নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।