দ্য ওয়াল ব্যুরো: নাগাল্যান্ডের প্রত্যন্ত গ্রামে জঙ্গি (militants) ভেবে ভুল করে নিরীহ লোকজনকে (unarmed people) অসম রাইফেলসের (assam rifles) গুলি করে হত্যার (killing) তীব্র নিন্দা করল উত্তরপূর্বের সীমান্ত রাজ্যের বিজেপি শাখা (nagaland bjp)। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তথা নাগাল্যান্ড মন্ত্রিসভার সদস্য তেমজেন ইম্মা আলং মন জেলার গ্রামের ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডকে ‘শান্তিকালে যুদ্ধ অপরাধের (war crimes) সমান,গণহত্যা, (genocide) নির্বিচার নিধন’ আখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন, তিনি ‘ওটিংয়ের ১৩ নিরপরাধ গ্রামবাসী’র হত্যায় ‘শোকস্তব্ধ, গভীর বিচলিত, ক্ষুব্ধ’। ‘কোনও কারণ দেখিয়েই এটা মেনে নেওয়া চলে না’, কেবলমাত্র গোয়েন্দা ব্যর্থতার দোষ দেওয়াটা ‘সবচেয়ে খারাপ অজুহাত’ বলেও জনসাধারণের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি। শনিবার সন্ত্রাসদমন অভিযানে ১৩ জন নাগরিক, এক বিশেষ বাহিনীর জওয়ান নিহত হয়েছেন। স্থানীয় লোকজনের প্রতিবাদের জেরে ফের হিংসা ছড়ায়। তাতে আরেক নাগরিকের মৃত্যু হয়। আলংয়ের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার নিহতদের পরিবারগুলিকে অবিলম্বে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি আরও বাড়তি নানা ব্যবস্থা নিক।
ভারত সরকার ও নাগা রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলির মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়া যখন নাগা রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানের মুখে দাঁড়িয়ে, তখন চূড়ান্ত সংযম, ধৈর্য্য দেখানো বিশেষ জরুরি বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, নিরীহ লোকগুলো সারাদিনের হাড়ভাঙা খাটুনির পর ফিরছিলেন, কোনও অস্ত্রশস্ত্রই ছিল না তাঁদের হাতে। তাই যা ঘটেছে, সেটা শান্তিকালে যুদ্ধাপরাধের সামিল, গণহত্যা, স্রেফ সন্দেহের বশে হত্যা। গুলিচালনাকে ‘জঘন্য অপরাধ’ বলে উল্লেখ করে দাবি করেন, এজন্য দোষী ‘বদমাশ অসম রাইফেলসের কর্মীদের’ বিচার করে সাজা দিতে হবে, কী করে ‘নিরপরাধ, নিরস্ত্র লোকজন’কে গুলি করে মেরে দিল, তার সঠিক উত্তর দিতে বাধ্য করতে হবে। কীসের ভিত্তিতে কম্যান্ডিং অফিসার গুলিচালনার নির্দেশ দিলেন।
এদিকে অসম রাইফেলস সরকারি বিবৃতি দিয়ে জীবনহানিত গভীর শোক প্রকাশ করে সাফাই দিয়েছে, তাঁদের ওপর মারমুখী জনতার হামলা হয়েছিল। মন এলাকায় অসম রাইফেলসের ফাঁড়িতে নানা দিক থেকে হামলা করেছিল ৩০০র বেশি স্থানীয় বাসিন্দা। সেখানে মোতায়েন অসম রাইফেলসের জওয়ানরা তাও চরম ধৈর্য্য, সংযম দেখান, জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে শূন্যে গুলি চালান।