শেষ আপডেট: 14th August 2024 22:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সেই মতো তদন্তও শুরু হয়েছে। তবে কলকাতা পুলিশ যে গ্রেফতারি করেছে তার ওপর আর কাউকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়নি। অথচ দাবি করা হচ্ছে, ধৃতের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত এই ঘটনায়। বুধবার আরজি করেই চিকিৎসকদের জেনারেল বডির একটি বৈঠক ছিল। সেখান থেকেই সব দোষীদের গ্রেফতারির কথা তুলে আরও একগুচ্ছ দাবি করা হয়েছে।
এই পৈশাচিক ঘটনায় যুক্ত সব দোষীদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি করা হয়েছে। তাছাড়া দাবি করা হয়েছে আরজি করের উচ্চপদস্থ আধিকারিক যেমন প্রাক্তন প্রিন্সিপাল, ডিন অফ স্টুডেন্টস, চেস্ট মেডিসিনের প্রধান, তাঁদের লিখিত ক্ষমা চাইতে হবে এবং ইস্তফা দিতে হবে। মঙ্গলবার আরও এক বড় অভিযোগ উঠেছিল আরজি কর নিয়ে। যে সেমিনার রুমে ধর্ষণ-খুন হয়েছে তা ভাঙা হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছিল। সেই কাজ কেন করা হচ্ছিল তারও লিখিত ব্যাখ্যা চেয়েছে জেনারেল বডি। উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের যাতে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই দাবিও জানানো হয়েছে।
এই বৈঠক থেকে বলা হয়েছে, এই ধরনের ঘটনায় অর্থ সাহায্য কোনও প্রভাব ফেলে না। তাও মৃতার পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করতে হবে রাজ্য সরকারকে। একই সঙ্গে রাজ্য, কলকাতা পুলিশ সেইসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেবে যারা সোশ্যাল মাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছে বা কুৎসা রটাচ্ছে এই ঘটনা নিয়ে, এমন দাবি করা হয়। এছাড়া মেডিক্যাল পড়ুয়া এবং জুনিয়র ডাক্তারদের হেনস্থা করার অভিযোগে পুলিশকেও ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করা হয়েছে এই বৈঠক থেকে।
এনআরএস, কলকাতা মেডিক্যাল, কেপিসি, আরজি কর, চিত্তরঞ্জন, এমআর বাঙ্গুরের মতো হাসপাতাল তো বটেই একাধিক জেলার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রতিনিধিদের নিয়ে হয় এই বৈঠক। তাঁদের সাফ কথা, দাবি যতদিন না পূরণ হবে ততদিন তাঁরা কর্মবিরতি চালাবেন। যদিও এমারজেন্সি বিভাগ খোলা থাকবে বলেই জানিয়েছে তাঁরা। এও অভিযোগ করা হচ্ছে, অনেক হাসপাতালে তাঁদের মতো ডাক্তারদের বা জুনিয়র ডাক্তারদের জোর করে কাজ করতে বলা হচ্ছে। সেইসব ঘটনার প্রতিবাদ তাঁরা করছেন।