শেষ আপডেট: 24th June 2019 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলায় জাল বিস্তার করার হুমকি আগেই দিয়েছিল ইসলামিক স্টেট (আইএস)। মাস ঘুরতেই খাস শহরের বুক থেকে ধরা পড়ল বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবি-র চার সক্রিয় সদস্য, অন্তত পুলিশের দাবি এমনটাই। শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশন থেকে এই চারজনকে পাকড়াও করেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। ধৃতেরা হল, — মহম্মদ জিয়াউর রহমান ওরফে মহসিন, মামুনুর রশিদ, মহম্মদ শাহিন আলম ওরফে আলামিন এবং রবিউল ইসলাম। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে মহম্মদ জিয়াউর রহমান ও মামুনুর রশিদ বাংলাদেশের বাসিন্দা। শিয়ালদা স্টেশনের পার্কিং এরিয়া থেকে মঙ্গলবার সকালে এই দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জেরা করেই খোঁজ মেলে রবিউল ও আলামিনের। রবিউল বীরভূমের নয়াগ্রামের বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, আলামিন বাংলাদেশের জেএমবি-র সক্রিয় সদস্য। হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে রবিউল ও আলামিন ধরা পড়ে। ধৃতদের কাছ থেকে মোবাইল-সহ জিহাদ সংক্রান্ত প্রচুর নথি উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। মোবাইল ঘেঁটে প্রচুর ছবি ও ভিডিও পাওয়া গেছে বলে খবর। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জেরায় এই চারজন জানিয়েছে, তারা নব্য জেএমবি-র সক্রিয় সদস্য। ইসলামিক স্টেটের মতাদর্শে অনুপ্রাণিত। তদন্তকারীদের ধারণা, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে নতুন করে ঘাঁটি তৈরি করাই উদ্দেশ্য জেএমবি-র। এই সংগঠনকে প্রত্যক্ষ ভাবে মদত দিচ্ছে আইএস। ২০১৪-য় খাগড়াগড় বিস্ফোরণে নাম উঠে আসে জেএমবি জঙ্গিগোষ্ঠীর। এর পর ২০১৬-য় ঢাকার গুলশনে হোলি আর্টিসান বেকারিতে জঙ্গি হামলা চালায় এই জঙ্গিগোষ্ঠী। সেই ঘটনায় ২০ জনের মৃত্যু হয়। বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর থেকেই কেন্দ্রের নিশানায় ছিল জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)জঙ্গিগোষ্ঠী। তাদের গতিবিধির উপরও কড়া নজর রাখাও হচ্ছিল। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে একটি নোটিস জারি করে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরা— এই তিন রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্তে লাগোয়া বেশ কয়েকটি জেলাতে তাদের বেস ক্যাম্প তৈরি করার পরিকল্পনা করছে জেএমবি। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ ভারতে তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তার করার চেষ্টা করছে এই জঙ্গিগোষ্ঠী।