শেষ আপডেট: 21st September 2024 15:07
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন। আর সেই কারণেই নাকি কলেজের ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে দুই ছাত্রীকে।
বাঁকুড়ার সারদামণি মহিলা কলেজের ক্লাস থেকে ওই দুই ছাত্রীকে বের করে দেওয়া হয়। কলেজের অধ্যাপক তৃণমূল নেতা শ্যামল সাঁতরার বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রতিবাদে কলেজের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন ছাত্রীরা।
অন্যদিকে পাল্টা অভিযোগ করেছেন ওই তৃণমূল নেতা। তাঁর অভিযোগ, প্রতিবাদের নামে টাকা তুলছিলেন ওই দুই ছাত্রী। সেই কারণেই তাঁদের ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, ওই দুই বহিষ্কৃত ছাত্রী ভূগোল বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের পড়ুয়া। তাঁদের দাবি, কলেজে প্রতিবাদ কর্মসূচি করার অনুমতি না মেলায় কলেজের গেটের সামনে আন্দোলন ও স্ট্রিট পেইন্টিং করে প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল।
কলেজ কর্তৃপক্ষের বাধা উপেক্ষা করে এই কর্মসূচিতে সামিল হন অনেকে। তারপরই কলেজের বিভাগীয় প্রধান তথা তৃণমূল নেতা শ্যামল সাঁতরা তাঁদের অপমান করেন। পরে ক্লাস থেকে বের করে দেন।
টিচার ইনচার্জের কাছে গোটা বিষয়টা জানানো হলেও কোনও সুরাহা মেলেনি। তাই তাঁরা এদিন কলেজের গেটের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। যদিও অধ্যাপক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামলের দাবি, 'ওই দুই ছাত্রী দলীয় লিফলেট ছড়িয়ে ছাত্রীদের থেকে টাকা তুলছিল। সেই কারণেই ওদের ক্লাস থেকে বহিষ্কার করা হয়।'
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর দাবি, এই বহিষ্কারের সঙ্গে আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদের কোনও যোগাযোগ নেই।