শেষ আপডেট: 11th September 2020 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে কী হচ্ছে তার এত খবর চিন পাচ্ছে কোথা থেকে! কোন পাহাড়ি খাঁজে ভারতীয় সেনার ছাউনি আছে, কোথায় অস্ত্র নিয়ে তৈরি ভারতের ঘাতক বাহিনী তার সব খবরই পেয়ে যাচ্ছে চিন। কোন এলাকায় সামরিক কাঠামো তৈরি করলে চকিতে হামলা চালানো সম্ভব হবে তার উপায়ও বের করে ফেলছে তারা। আর এইসবই সম্ভব হচ্ছে চিনের বিশেষ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইন ও ইলেকট্রনিক ইনটেলিজেন্সের মারফৎ। এমনটাই জানালেন ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো)-এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান জি মাধবন নায়ার। ভারতকেও তাদের স্যাটেলাইটের ক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শও দিলেন এই প্রবীণ মহাকাশবিজ্ঞানী। মাধবনের কথায়, চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি সামরিক কৌশলে ভারতের সেনাবাহিনীর থেকে অনেক পিছিয়ে। কিন্তু তাদের কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট ও ইলেকট্রনিক ইনটেলিজেন্স খুবই উন্নত। পূর্ব লাদাখের গোটা পাহাড়ি এলাকার ফাঁকফোঁকরের ছবি তাদের কাছে চলে যাচ্ছে উপগ্রহচিত্র মারফৎ। তাই কোন এলাকায় সামরিক বহর নিয়ে এগোনো যাবে, কোথায় ঘাঁটি তৈরি করা যাবে তার নিখুঁত ছক কষে ফেলছে তারা। [caption id="attachment_258747" align="aligncenter" width="597"] জি মাধবন নায়ার[/caption] প্রাক্তন ইসরো প্রধান বলছেন, চিনের কাছে একাধিক রেডার ইমেজিং স্যাটেলাইট, আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট ও কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট রয়েছে। তাই শুধু লাদাখ নয় বিশ্বের যে কোনও প্রান্তের ছবি ও ম্যাপ তাদের হাতের তালুর মধ্যে চলে আসবে। তবে ভারতও স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে পিছিয়ে নেই। মাধবন বলেছেন, শত্রু ঘাঁটির খবর পেতে ভারতও তাদের গুপ্তচর স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে মহাকাশে। আগামী দিনে এমন আরও কিছু কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের। প্রতিরক্ষা ও দেশের সীমান্ত সুরক্ষার কাজে এই স্যাটেলাইটকে ব্যবহার করা হবে।