শেষ আপডেট: 8th June 2024 15:21
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভোট পর্ব মিটলেও উপদ্রুত এলাকার স্কুলগুলিতে এখনও রয়েছে বাহিনী। অন্যদিকে যে সমস্ত স্কুল ছেড়ে বাহিনী ইতিমধ্যে চলে গিয়েছে সেগুলির অবস্থাও করুণ। কোথাও ক্যাম্পাস জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে মদের বোতল! কোথাও বা ক্লাসরুমের একাধিক বে্ঞ্চ ভাঙা!
২৭ মে স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, ১০ জুন থেকে চালু হবে স্কুল। শিক্ষা দফতরের নিয়ম মেনে ৩ তারিখ থেকে স্কুলে যাচ্ছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠন শুরু করা হবে তা নিয়ে ধন্দে শিক্ষক শিক্ষিকারা।
বজবজের নোদাখালিতে বুরুল হাইস্কুলে বাহিনী ছিল। ভোট মিটতে স্কুল থেকে বাহিনী সরেছে ঠিকই, কিন্তু স্কুলে পা রাখলে মনে হবে যেন মালের ঠেকে পৌঁছেছেন! চারিদিকে মদের খালি বোতলের ছড়াছড়ি। সঙ্গে ছড়িয়ে ছিটিয়ে হাজারও আর্বজনা। আরও করুণ অবস্থা মথুরাপুরের কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলে ক্যাম্পাসের।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দন মাইতি বলেন, "স্কুলে কাউন্টিং সেন্টার হয়েছিল। অনেকগুলো বেঞ্চ সিআরপিএফের জওয়ানরা ভেঙেছে। চারিদিকে মদের বোতল। দিন রাত ফ্যান চালিয়েছে। ইলেকট্রিক বিল কে মেটাবে? ভোট মিটতেই প্রশাসন আর এদিকে তাকায় না। এদিকে সোমবার থেকে স্কুল খোলার কথা। জানি না, কীভাবে কী হবে।"
চন্দনবাবু বলেন, "ডেকোরেটারকে ডেকে জওয়ানরা অতিরিক্ত ফ্যান ভাড়া নিয়ে লাগায়। গতবারে ডেকোরেটারের লোকজন ফ্যান খুলে নিয়ে যাওয়ার সময় স্কুলেরও ১২টা ফ্যান খুলে নিয়ে গিয়েছিল। এবারও কটা ফ্যান গেছে কে জানে!"
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সূচি অনুযায়ী, ৯ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত গরমের ছুটি থাকে। এবারে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ২২ এপ্রিল থেকে ৩ জুন পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। ভোট মিটে যাওয়ার পর বাহিনী থাকার কারণে সেই ছুটি আরও সাতদিন বৃদ্ধি করা হয়েছে।
কিন্তু সোমবার থেকে স্কুল খুললেও পরিকাঠামো ঠিক ঠাক করে পড়াশোনা শুরু করতে আরও কয়েকদিন লেগে যাবে বলে মনে করছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনকেই দুষছেন তাঁরা। এ ব্যাপারে শিক্ষা দফতরের কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
তবে ভোটের পরও স্কুল দখল করে বাহিনী থাকার জন্য রাজ্যকে দুষেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। দিলীপ বলেন, "যে রাজ্য গুন্ডাদের সামলাতে পারে না, সেখানে তো বাহিনীকে রাখতেই হবে। তাছাড়া অশান্তির মাঝে স্কুলে গিয়ে তো পড়ুয়ারাও বিপদে পড়তে পারে।"