শেষ আপডেট: 18th September 2024 15:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আন্দোলরত জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মেনে ফের আলোচনায় বসতে চলেছে রাজ্য। এদিন দুপুরে এ ব্যাপারে আন্দোলনকারীদের চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সন্ধে সাড়ে ৬টায় নবান্নে বৈঠকের জন্য তাঁদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে রাজ্য।
চিঠিতে মুখ্যসচিবের তরফে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের জানানো হয়েছে, সরকার তাঁদের দাবি নিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি। ৩০ জন প্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়ে বৈঠকে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি দ্রুত কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে।
চিঠিতে মুখ্যসচিবের তরফে এও জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে টাস্ক ফোর্সও গঠন করা হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বাকি বিষয়গুলি পূরণের কাজও চলছে।
সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলোতে সুরক্ষা পরিকাঠামো বাড়াতে সরকার কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তা মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিবাল। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে সাত থেকে চোদ্দ দিনের মধ্যে তা শেষ করতে হবে। তবে সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে সরকার প্রাইভেট সিকিউরিটি নিয়োগের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা নিয়ে সমালোচনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ভলান্টিয়ারের পরিবর্তে নিরাপত্তা দায়িত্ব দিতে বলেছে পুলিশকে।
জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, এখনও পর্যন্ত যে নিরাপত্তার কথা সরকার বলছে তা থিওরেটিকাল তথা তাত্ত্বিক। মেডিকেল কলেজে হুমকির সংস্কৃতি ও পরিবেশে লাগাম টানতে যে ধরনের সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা ও নজরদারি থাকা উচিত তা সরকারি প্রস্তাবে নেই। অনেক ধোঁয়াশা রয়েছে।
এরপরই মঙ্গলবার মধ্যরাতে সাংবাদিক বৈঠক করে নতুন দাবির কথা সামনে আনেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। এ ব্যাপারে মুখ্য সচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়ে বুধবার ফের তাঁরা চিঠি পাঠিয়েছিলেন নবান্নে। জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, তাঁদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে চার ও পাঁচ নম্বর পয়েন্টের এখনও পুরোপুরি নিষ্পত্তি হয়নি।
তবে সরকারের শীর্ষ সূত্রে বলা হচ্ছে, এ হল চাপের কৌশল। জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠনে এখন নানা মুনি ও তাঁদের নানা মত। অধিকাংশ জুনিয়র ডাক্তার কাজে ফিরতে চান। কিন্তু কিছু বামপন্থী ও উগ্র বামপন্থী সংগঠন তাঁদের পিছন থেকে ইন্ধন দিচ্ছেন। তাঁদের উদ্দেশ্যই হল, অচলাবস্থা জিইয়ে রাখা এবং অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করা। কারণ, আরজি করের ঘটনার পর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়াতে সরকার এখন সর্বোচ্চ আদালতের কাছেও দায়বদ্ধ। তা জেনে বুঝেও খামোখা অস্থিরতার পরিবেশ তৈরি করে রাখা হচ্ছে বলে তাঁদের মত।
তবে সরকার যে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতা করতে আগ্রহী, ফের বৈঠক ডেকে সেই বার্তাও সামনে আনল নবান্ন। এখন দেখার এদিনের সন্ধের বৈঠক থেকে সমাধান সূত্র বের হয় কিনা।