শেষ আপডেট: 19th October 2024 09:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে! বৃহস্পতিবার সন্ধেয় কুণাল ঘোষের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করা নিয়ে প্রথমে বলেছিলেন, নাগরিক হিসেবে একজন নাগরিকের সঙ্গে দেখা করেছেন। বৈঠকের বিষয় বস্তু নিয়ে প্রথমে দু'জনের কেউই মুুখ খুলতে চাননি।
পরে বিতর্কের মুখে পড়ে চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'জুনিয়রদের ভালর জন্য যা করার করেছি। আমি প্রথমে মানুষ, তারপরে ডাক্তার, তারপরে আমার রাজনৈতিক সত্ত্বা।'
তা নিয়েও বিতর্ক হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, 'এভাবে আড়ালে আবডালে চুপিচুপি বৈঠক কেন?' শনিবার সকালে এ ব্যাপারে নারায়ণের ব্যাখ্যা, আগে লোয়ার কোর্টে যেতে হয়, তারপরে হায়ার কোর্টে!
নারায়ণবাবুর কথায়, "ওরা ঠিকই বলেছে আমি চাইলে তো মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করতে পারতাম! কিন্তু প্রথমে হায়ার কোর্টে যাওয়ার থেকে লোয়ার কোর্টে যাওয়া ভাল নয় কি! সেজন্যই আমি প্রথমে কুণাল ঘোষের কাছে গিয়েছিলাম।"
ঘটনার সূত্রপাত, বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। ছবিতে কুণাল এবং চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যাচ্ছে। ক্যাপশনে লেখা, 'ডা. নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় এসেছিলেন। কিছু বিষয়ে আলোচনা হল।'
বস্তুত, জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের শুরু থেকেই প্রতিবাদী ভূমিকায় দেখা গিয়েছে চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অন্যদিকে প্রথম থেকেই রাজনৈতিক ছোঁয়া থেকে নিজেদের আন্দোলনকে রক্ষা করার প্রয়াস দেখা গিয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের মধ্যে। প্রাক্তন বিচারপতি, অধুনা বিজেপি নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় থেকে প্রদেশ কংগ্রেসের বর্তমান সভাপতি শুভঙ্কর সরকার, আন্দোলন মঞ্চে গিয়ে সকলকেই শুনতে হয়েছে গো ব্যাক স্লোগান।
এমন আবহে শাসকদলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা কুণাল ঘোষের সঙ্গে সিনিয়র চিকিৎসক নারায়ণের একান্ত বৈঠক ঘিরে প্রকাশ্যেই নানা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসক থেকে একাংশ সিনিয়র চিকিৎসকও। তাঁদের কথায়, চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় যেটা করেছেন, তা আন্দোলনের পরিপন্থী।
যদিও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের মতে, "আমি মনে করি উনি জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রকৃত শুভানুধ্যায়ী। ধাপে ধাপে আলোচনার মাধ্যমে জট খোলার প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইছিলেন।"