শেষ আপডেট: 12th September 2023 13:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ত্রিপুরার বাঙালি পাড়ায় বিজেপির প্রথম মুসলিম বিধায়ক হলেন তাফাজ্জল হোসেন (First Muslim BJP MP in Tripura)। বক্সানগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে রেকর্ড মার্জিনে সিপিএম প্রার্থীকে পরাস্ত করে বিধানসভায় বিজেপির আসন সংখ্যা বাড়ালেন তাফাজ্জল। গত ২৫ বছর ধরে সিপিএমের দখলে থাকা বক্সানগর বিধানসভা আসনটি বিজেপির দখলে এনে প্রচারের আলো কেড়ে নিয়েছেন ৪৯ বছরের এই মুসলিম যুবক।
এত দ্রুত নির্বাচকদের মানসিকতার এই অভিনব পরিবর্তনে সংশয় প্রকাশ করেছে বিরোধীরা। ওই কেন্দ্রের ৮০ শতাংশ ভোটই বিজেপির ঝুলিতে জমা পড়ায় স্বভাবতই কারচুপির অভিযোগ তুলেছে সিপিএম। বামেরা এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল প্রয়াত বিধায়ক শামসুল হকের পুত্র মিজান হোসেনকে। কিন্তু না মতাদর্শ, না সহানুভুতি কোনও কিছুই কাস্তে-হাতুড়ির পালে হাওয়া বওয়াতে পারেনি।
কারচুপির অভিযোগ উড়িয়ে তাফাজ্জল হোসেন জানিয়েছেন, তিনি ত্রিপুরা বিজেপির প্রথম সংখ্যালঘু বিধায়ক হলেও জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে আগামী দিনে কাজ করবেন কারণ বক্সানগর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রায় সকলেই তাঁকে ভোট দিয়েছেন।
তাফাজ্জলের এই জয়কে ইতিবাচক বলে মনে করছেন বাংলার বিজেপিও। বাংলায় প্রায় ৩০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট রয়েছে। যা বিজেপির কাছে অনেকাংশে অধরা। তাফাজ্জলকে বাংলায় প্রচারে এনে সেই সংখ্যালঘুদের কাছেও এখন বার্তা দিতে চাইছেন শুভেন্দু অধিকারীরা।
তাফাজ্জল তাঁর জয়ের প্রায় পুরো কৃতিত্ব দিয়েছেন স্মার্টফোন, ইন্টারনেট এবং মোদী সরকারের ডিজিটাল ইন্ডিয়ার প্রচারকে। এই নির্বাচনে তাঁর একটি বোধদয়ের কথাও শুনিয়েছেন নব নির্বাচিত বিধায়ক। তিনি জানিয়েছেন, মানুষ এখন অর্থহীন আন্দোলন এবং বিক্ষোভ সম্পর্কে নিতান্তই উদাসীন। বরং তাঁদের কাছে উন্নয়নই একমাত্র বিচার্য বিষয়।
তাফাজ্জলের রাজনৈতিক যাত্রা ইদানীংকালের আর দশজন রাজনৈতিক নেতার মতোই। তিনি ছিলেন সোনামুড়া জেলার কংগ্রেসের সহ সভাপতি এবং ২০১১ সালে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সদস্য। এর দু’বছর পরই দলত্যাগ করে বিপ্লব দেবের নেতৃত্বে বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১৬ সালে রাজ্যের বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার সম্পাদক হন। ২০১৫ সালেই কন্ট্রাক্টারির ব্যবসা ছেড়ে সর্বক্ষণের রাজনৈতিক কর্মী হয়ে ওঠেন।
বক্সানগরের কলমচ্বরা গ্রাম থেকে উঠে আসা বিধায়ক নিজে ক্লাস টেন পর্যন্ত পড়লেও তাঁর উন্নয়ন কর্মসূচির তালিকার প্রথমেই রয়েছে স্কুলের অবস্থার উন্নয়ন।
আরও পড়ুন: 'কর্মীরাই ভরসা করতে পারছেন না, সাধারণ মানুষ কীভাবে করবেন?' বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারে নামছে তৃণমূল