মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম।
শেষ আপডেট: 22 June 2024 09:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফাঁকা জমি পেলেই হল! অলিতে গলিতেও গজিয়ে উঠছে বহুতল। নিয়মের তোয়াক্কা না করে এসব তো চলছিলই, সঙ্গে হালফিলে বাড়তি মুনাফালাভের জন্য রুফটপ অর্থাৎ ছাদও বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।
হাতে গোনা কয়েকটি নয়, তদন্তে নেমে পুরসভা জানতে পেরেছে শহরের একাধিক ছাদ বিক্রি বা ভাড়ায় ব্যবহার করা হচ্ছে। রাতারাতি সেখানে তৈরি হয়েছে রেস্তোরাঁ, বার। সেই তালিকায় রয়েছে হুক্কা বারও।
প্রতীকী ছবি।
শহরের কোথায় কোথায় কী কী জবরদখল হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে পুরসভার অ্যাসেসমেন্ট বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তারপরই এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে পুর আধিকারিকদের তদন্তে। সূত্রের খবর, ট্যাক্স নেওয়া তো দূর, এসব ব্যাপারে পুরসভার কাছে কোনও তথ্য়ই ছিল না এতদিন।
বিষয়টি জানতে পারার পরই মেয়র জানিয়েছেন, আইনি কাগজপত্র না থাকলে রুফটপ ভেঙে ফেলতে হবে।
ঘটনার সূত্রপাত, বাংলার ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার বিকেলে নবান্নের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মন্ত্রী-অফিসারদের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর 'রণং দেহি' মেজাজের মুখোমুখি হতে হয়েছিল রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে।
মমতা স্পষ্টতই বলেছিলেন, এক শ্রেণির নেতা, পুরসভার কিছু কর্মী আর অফিসার টাকা নিয়ে বাইরের লোক বসাচ্ছেন। কিছু আমলাও এর সঙ্গে জড়িত বলে তাঁর অভিযোগ। এরপরই ফিরহাদের দিকে তাকিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, তোমরা এর জন্য দায়ী।
সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর ওই ধাতানির পরই নড়েচড়ে বসেছেন কলকাতার মেয়র। পুরসভার অ্যাসেসমেন্ট বিভাগকে জবরদখল খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই সূত্রেই তদন্তে উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
মেয়র বলেন, "বেশি মুনাফা লাভের জন্য শহরের বহু ছাদ বিক্রি বা ভাড়ায় ব্যবহার করা হচ্ছে। কোনও অনুমতির তোয়াক্কা না করে এগুলো করা হচ্ছে। দফতরের আধিকারিকদের বলেছি, সার্ভে করে বেআইনি রুফটপের তালিকা তৈরি করতে। সব ভেঙে ফেলা হবে।"
একই সঙ্গে ফিরহাদ বলেন, "ছাদ রাখা হয় কারণ, হঠাৎ বহুতলে আগুন ধরলে মানুষ ছাদে গিয়ে আশ্রয় নিতে পারেন। পরে দমকল সিঁড়ি দিয়ে ছাদ থেকে তাঁদের উদ্ধার করেন। সব কিছু বদলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এই জিনিস আমরা আর বরদাস্ত করব না।"