শেষ আপডেট: 26th July 2024 15:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: উত্তরবঙ্গের আট জেলাকে উত্তর-পূর্বের সঙ্গে যুক্ত করার দাবি তুলেছেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও দেখা করেছিলেন তিনি সেটাও নিজেই জানিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস এই বিষয়টির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলা ভাগের চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে। সম্প্রতি ফিরহাদ হাকিম এই প্রসঙ্গে বলেছেন, এই বিজেপির আদর্শধারীরা এক সময় তো ভারতকেই ভাগ করে দিয়েছিল। এখন বাংলা ভাগ করতে চাইছে। তা কখনই মেনে নেওয়া হবে না।
বিজেপির বিরুদ্ধে 'বাংলা ভাগের' চক্রান্ত করার অভিযোগ নতুন নয়। লোকসভা ভোটের অনেক আগেও এই ইস্যুতে তোলপাড় হয়েছে। তবে এখন বিজেপি 'উন্নয়নের স্বার্থে' এই পদক্ষেপ চাইছে। গেরুয়া শিবিরের নেতাদের কড়া সমালোচনা করে ফিরহাদ বলছেন, ''বিজেপির পায়ের তলায় মাটি নেই, মুখ থুবড়ে পড়েছে। তাই এখন আবার ভাগাভাগির দাবি তুলছে। আগে দেশ ভাগ হয়েছে, এখন বাংলার এলাকা এলাকা ভাগ করতে চাইছে তারা। একটা সময় পর তো বিজেপি বলবে যে টুকরোগুলি জিতেছি সেগুলিকে আলাদা দেশ বানাতে হবে।''
রাজ্যের মন্ত্রী বাংলার সকল মানুষকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, ''ভারতবর্ষ এক, বাংলাও এক থাকবে। আমরা সবাই ভারতবাসী, বাংলার সন্তান হয়ে গর্বিত। খুবই দুঃখের বিষয়ে যে একটা সময় যারা দেশভাগের চক্রান্ত করেছিল, তারাই এখন বাংলা ভাগের কথা বলছে। এ জিনিস মানুষ কখনই মেনে নেবে না।'' যারা এমন কাজ করার চেষ্টা করছে, তাঁদের ধিক্কার জানাই, এমনই মন্তব্য করেন ফিরহাদ।
গত কয়েকদিন ধরেই নতুন করে দানা বেঁধেছে বাংলা ভাগ প্রসঙ্গ। সুকান্ত মজুমদারের মতোই বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বাংলার দুই জেলা মালদহ এবং মুর্শিদাবাদ-সহ ঝাড়খণ্ড এবং বিহারের কয়েকটি জেলা নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের ডাক দিয়েছেন। এ নিয়ে মুখ খুলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দিল্লি যাওয়ার আগে তিনি বলেন, ''অসম, ঝাড়খণ্ড, বাংলাকে ভাগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশকে টুকরো টুকরো করে দেওয়ার চক্রান্ত, তা মেনে নেওয়া যায় না। ''
বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে তো আরও বিস্ফোরক দাবি করে বলেছেন, বাংলাদেশের অনুপ্রবেশের কারণে নাকি বাংলা ও বিহারের জনসংখ্যার বিন্যাস বদলে যাচ্ছে। এমন চলতে থাকলে হিন্দুদের অস্তিত্বই থাকবে না। এরপরই বাংলা ও বিহারের এই পাঁচ জেলাকে নিয়ে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরির দাবি জানান তিনি। এ ব্যাপারেও কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল।