শেষ আপডেট: 13th March 2025 07:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ক্ষমতায় আসলে তৃণমূলের মুসলিম বিধায়কদের 'চ্যাংদোলা' করে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। গত মঙ্গলবার বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়েই এই মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেই ইস্যুতে এবার তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হল এফআইআর (FIR)। উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়া থানায় তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করেছেন কংগ্রেস (Congress) নেতা ভিক্টর ওরফে আলি ইমরান রামজ।
বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে শান্তিভঙ্গ, উস্কানি দেওয়া, প্ররোচনা দেওয়ার মতো অভিযোগ করা হয়েছে। কংগ্রেস নেতা এও দাবি করেছেন, শুভেন্দু অধিকারী আদতে এই ধরনের মন্তব্য করে মুসলিম বিধায়কদের অপমান করেছেন। সূত্রের খবর, অভিযোগটি পুলিশ গ্রহণ করেছে এবং সেই প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে। অন্যদিকে কংগ্রেসের তরফেই কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি (ক্রাইম)-কে চিঠি দেওয়া হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ওই মন্তব্যের জন্য পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়ে। তাঁরা চায়, এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করুক কলকাতা পুলিশ।
তৃণমূল সরকারকে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য ছিল, ''এরা (তৃণমূল) বাংলার হিন্দু জনগণকে উপড়ে ফেলতে চাইছে। এই ঔদ্ধত্য দিল্লিতে কেজরিওয়াল করেছিল বলে ওখানকার মানুষ আপকে উপড়ে ফেলেছে। আগামী বছর বাংলাতেও তাই হবে। ওদের দলের যে সব মুসলিম বিধায়ক জিতে আসবে তাদের চ্যাংদোলা করে ১০ মাস পরে এই রাস্তায় ফেলব!'' এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে শাসক দলের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ইতিমধ্যে তাঁকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
হুমায়ুন বুধবার বলেছেন, ''উনি যদি মারতে আসেন তাহলে আমরা কি রসগোল্লা খাওয়াবো নাকি? মুসলিম বিধায়কদের তিনি অসম্মান করবেন, আছাড় মেরে রাস্তায় ফেলার কথা বলবেন, আর তাঁকে রসগোল্লা খাওয়াবো না। যা জবাব দেওয়ার তাই দেওয়া হবে। উনি আছাড় মারার কথা বলেছেন, আমি ঠুসে দেব।'' একই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিজের মন্তব্য প্রত্যাহার না করলে এবং মুসলিম বিধায়কদের কাছে ক্ষমা না চাইলে তাঁকে দেখিয়ে দেওয়া হবে তিনি আদতে কত বড় নেতা হয়েছেন।
শুভেন্দু ক্ষমা না চাইলে কী করবেন হুমায়ুন কবীর? তিনি স্পষ্ট জানান, সময়ের মধ্যে ক্ষমা না চাইলে বিধানসভায় তাঁর ঘরের সামনে ৪২ জন সংখ্যালঘু বিধায়ক তাঁকে 'বুঝে নেবেন'! আর আপাতত মুর্শিদাবাদে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। ঢুকতে চাইলে বুঝিয়ে দেওয়া হবে তাঁদের কত ক্ষমতা! এদিকে অন্য এক বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীও শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। যদিও তিনি এখনও কোনও পদক্ষেপের কথা বলেননি।