শেষ আপডেট: 16th January 2023 02:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) বলেছেন, তিনি নিজে একজন মধ্যবিত্ত। তাই মধ্যবিত্তদের সমস্যা বোঝা সম্পর্কে তিনি সম্পূর্ণ সচেতন।
১ ফেব্রুয়ারি সংসদে আগামী অর্থ বছরের বাজেট (Budget) পেশ করবেন নির্মলা। তার দিন পনেরো আগে রবিবার এই মন্তব্য করে কী বোঝাতে চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী? এ নিয়ে নানা মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। বেশিরভাগই আশাবাদী, অর্থমন্ত্রী আগামী বাজেটে কিছু পণ্যের উপর জিএসটি হ্রাসের পাশাপাশি ব্যক্তিগত আয়করে (Income tax) ছাড় দিতে পারেন।
নির্মলা অবশ্য বলেছেন, বর্তমান সরকার এতদিন পর্যন্ত মধ্যবিত্তদের উপর কোনও নতুন কর আরোপ করেনি।
রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের মুখপাত্র পাঞ্চজন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে রবিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমিও মধ্যবিত্তের অংশ। তাই আমি মধ্যবিত্তের চাপ বুঝতে পারি। আমি মধ্যবিত্তের সঙ্গে নিজেকে এক করে দেখি তাই আমি জানি তারা কী চান।
কী চান? এই মুহূর্তে ব্যক্তিগত আয়কর দাতা আট কোটি নাগরিক চান কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়াতে সঞ্চয় বৃদ্ধির সুযোগ দেওয়া হোক তাদের। আর তা সম্ভব আয়কর ছাড়ের সীমা বৃদ্ধি করে। এই ক্ষেত্রে দুটি ছাড় চান বেশিরভাগেরা। এক, স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সীমা বৃদ্ধি। দুই, বিভিন্ন সঞ্চয় প্রকল্পে অর্জিত সুদের উপর আয়করে ছাড়। দীর্ঘদিন আয়কর কাঠামোর তেমন পরিবর্তন না করায় এই খাতে সুবিধা থেকে বঞ্চিত সাধারণ বেতনভুক মানুষ, যাঁরা মধ্যবিত্তের অংশ।
ব্যক্তিগত আয়করে বর্তমানে চালু ছাড়ের কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি নির্মলা স্মরণ করিয়ে দেন, মোদী সরকার ২৭টি শহরে মেট্রোরেল চালু এবং ১০০টি স্মার্ট সিটি নির্মাণের মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, যাতে মধ্যবিত্তের জীবনযাত্রা আরও সহজ হয়। তাঁর কথায়, সরকার মধ্যবিত্তদের জন্য আরও কিছু করতে চায়। কারণ, দেশে মধ্যবিত্তের সংখ্যা বাড়ছে। বলাই বাহুল্য, মধ্যবিত্তদের জন্য অর্থমন্ত্রী সরকারের ভবিষ্যৎ পদক্ষেপগুলি খোলসা করেননি।
কৃষকদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে, সীতারামন বলেছিলেন যে সরকার তাদের আয় দ্বিগুণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সেদিকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
আরএসএসের অনুষ্ঠানে বিনামূল্যে সরকারি সুবিধা দেওয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে চলা প্রতিযোগিতার প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন অর্থমন্ত্রী। ভোটের আগে সব দলই ইদানীং সরকারের আয়ের কথা মাথায় না রেখেই ঢালাও সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ব্যাপারে আপত্তি তুললেও বিজেপিও এই ব্যাপারে একই পথের পথিক। সীতারমন বলেন, রাজ্যের আর্থিক স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে এবং এতে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রাখা জরুরি।
ছেলে হওয়ায় পশুপতিনাথকে পুজো দিতে গিয়েছিলেন, নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু যুবকের