রাস্তার পড়ে থাকা বাবার দেহাংশ ছেলেকে দিয়ে তোলানোর অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে।
শেষ আপডেট: 20 May 2025 15:54
দ্য় ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: হাড়হিম দৃশ্য। পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় বাবার। শরীর উপর দিয়ে চলে যায় পাথর বোঝাই ডাম্পার। ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় দেহ।রাস্তার পড়ে থাকা বাবার দেহাংশ ছেলেকে দিয়ে তোলানোর অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে।
সোমবার রাত আটটার সময় পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা বাস টার্মিনাসের কাছে ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু হয় প্রদীপ কুমার দাস(৬৩) নামে এক বৃদ্ধের। পেশায় লটারির টিকিট বিক্রেতা। বাড়ি গুসকরা পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের শিরিষতলায়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পৌঁছে যায় ছেলে সুদীপ দাস। দুর্ঘটনাস্থলে যায় গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশ। সুদীপ দাস জানান, ঝড় বৃষ্টির পর তাঁর বাবা রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই সময়ে পিছন দিক থেকে একটি ডাম্পার তাঁকে ধাক্কা মারে। প্রদীপবাবু ডাম্পারের নীচে পড়ে গেলে শরীরের উপর দিয়ে ডাম্পারের চাকা চলে যায়। দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তাঁর।
সুূদীপ দাস বলেন, "পুলিশ আমাকে রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা বাবার দেহের টুকরো তুলতে বলে। আমার মাথা কাজ করছিল না। মনে হচ্ছিল অজ্ঞান হয়ে যাব। তা সত্ত্বেও আমি বাবার দেহাংশ রাস্তা থেকে তুলে দেই।"
পুলিশের এমন অমানবিক আচরণের কথা জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায়। বাবার দেহাংশ কী করে পুলিশ ছেলেকে তুলতে বলল তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়। এই বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার সায়ক দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, খোঁজ নিয়ে দেখছেন কী হয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রদীপকুমার দাসের কোনও দোকান ছিল না। তিনি গুসকরা শহরে ঘুরে ঘুরে লটারি টিকিট বিক্রি করতেন।তিনি সারাদিনে তিনবার টিকিট বিক্রি করতেন শহরের বিভিন্ন জায়গায়।