পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্রেতা সেজে অভিযুক্তদের ফাঁদে ফেলেন তদন্তকারী অফিসাররা। মাত্র ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড এমনকি জাতিগত শংসাপত্রও তৈরি করে দেওয়া হত।
শিলিগুড়ির আবাসনে পুলিশের হানা
শেষ আপডেট: 16 June 2025 11:18
দ্য় ওয়াল ব্য়ুরো, শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ির ইস্টার্ন বাইপাস এলাকার একটি বহুতল আবাসনে হানা দিয়ে জাল আধার কার্ড তৈরির চক্র ফাঁস করল পুলিশ। নির্দিষ্ট সূত্রে খবর পেয়ে ফাঁদ পেতে এই চক্রের ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও ভক্তিনগর থানার পুলিশ। অভিযানে ছিল আশিঘর আউটপোস্টের পুলিশও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্রেতা সেজে অভিযুক্তদের ফাঁদে ফেলেন তদন্তকারী অফিসাররা। মাত্র ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড এমনকি জাতিগত শংসাপত্রও তৈরি করে দেওয়া হত। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে চিত্তরঞ্জন সরকার, ষষ্ঠী মণ্ডল, টিটু দাস, বিশ্বজিৎ রায়, মঙ্গলু সিংহ গৌতম, হরিকিশোর রায় ও আবেশ গুপ্তা।
পুলিশ জানিয়েছে, এই জালিয়াতি চক্রটি পরিচালিত হত চিত্তরঞ্জন সরকারের মালিকানাধীন 'ঊষা ডিজিটাল ফটো স্টুডিও' থেকে, যা অবস্থিত ঢাকেশ্বরী মন্দির সংলগ্ন ফকদই বাড়িতে। এখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণে নকল নথিপত্র।
পুলিশ জানিয়েছে, এখানে শুধু নকল আধার-ভোটার কার্ড নয়, নকল জাতিগত সার্টিফিকেটও তৈরি করা হত। সবটাই সরকারি কাগজপত্রের অবিকল নকল। এই র্যাকেট শুধু ভারতীয় নাগরিকদের নয়, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদেরও নথি জোগাড় করে দিত। কাদের কাদের জন্য এই জাল নথি তৈরি করা হয়েছিল, সে ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ।
ভক্তিনগর থানার আইসি অমিত অধিকারী জানান, “একটি বড়সড় চক্র জাল নথি তৈরি করছিল। বড়সড় চক্র কাজ চালাচ্ছিল। এখনও পর্যন্ত আমরা সাতজনকে ধরেছি। আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” শিলিগুড়ির মতো সীমান্তবর্তী শহরে এই ধরনের জাল নথি তৈরির চক্র সমূলে বিনাশ করতে পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের নজরদারি আরও বাড়ছে বলে জানা গেছে।