কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, একাধিক তৃণমূল নেতা হিংসার প্ররোচনা দিয়েছিলেন। আর হিংসা হচ্ছে দেখেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল।
ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 21 May 2025 09:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) ওয়াকফ বিরোধিতার (Waqf Protest) নামে যে অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল তার তদন্তে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তরফে একটি কমিটি গঠন (Fact Finding Committee) করা হয়েছিল। বুধবার সেই কমিটিই চাঞ্চল্যকর একটি রিপোর্ট দিয়েছে। তাঁদের দাবি, পুলিশ সম্পূর্ণভাবে নিষ্ক্রিয় ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে কিছুই করেনি।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রেজিস্ট্রার যোগিন্দর সিং, রাজ্য জুডিশিয়ার সার্ভিসেসের সচিব অর্ণব ঘোষাল ও রাজ্য জুডিশিয়াল সার্ভিসেসের রেজিস্ট্রার সৌগত চক্রবর্তীকে নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট গড়েছিল এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। তাঁরাই বুধবার রিপোর্ট দিয়েছে জানিয়েছে, মুর্শিদাবাদের সাম্প্রদায়িক হিংসা পূর্বপরিকল্পিত এবং এর পিছনে স্থানীয় একাধিক নেতার মদত রয়েছে।
কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, একাধিক তৃণমূল নেতা (TMC Leaders) হিংসার প্ররোচনা দিয়েছিলেন। আর হিংসা হচ্ছে দেখেও পুলিশ (WBP) নিষ্ক্রিয় ছিল। ধুলিয়ান পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মেহেবুব আলমকে মূল 'দোষী' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এই রিপোর্টে। তদন্ত কমিটির সাফ কথা, আলম ধুলিয়ান পুরসভার প্রশাসকও ছিলেন কিন্তু হামলাকারীদের সঙ্গে তাঁর সরাসরি যোগ ছিল। একই সঙ্গে এও উল্লেখ করা হয়েছে, তৃণমূলের এক বিধায়ক ঘটনার দিন হিংসা ছড়িয়ে পড়ার পর এলাকা ছেড়ে চলে গেছিলেন। তিনিও অশান্তি রুখতে কোনও পদক্ষেপ নেননি।
পুলিশের ভূমিকা নিয়েও কাটাছেঁড়া করা হয়েছে এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্টে। তাঁদের বক্তব্য, এলাকায় যখন হিংসা ছড়িয়ে পড়ে, যখন দোকান, বাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে, সেই সময় পুলিশ দর্শকের ভূমিকায় ছিল। হিংসা আটকাতে কোনও রকম চেষ্টাই করেনি। হিংসায় শুধুমাত্র বেতবোনা গ্রামে ১১৩টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
যদিও এই রিপোর্ট মানতে রাজি নন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর সাফ কথা, বিজেপি চক্রান্ত করে মুর্শিদাবাদ নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। হিংসা ছড়িয়ে পড়ার পর মুখ্যমন্ত্রী, পুলিশ, প্রশাসন যা যা করার তাই করেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজ নেওয়া, ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা, সবই করা হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য বিজেপি শিবিরের থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।