কল্যাণ এও বলেন, “অবশ্যই লিখে দেবেন এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। না হলে আবার AITC বলবে, ‘দল আমার সঙ্গে নেই’।”
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
শেষ আপডেট: 5 July 2025 18:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলেজে চাকরি মানেই টিএমসিপি (Recruitment in Kakdwip College) নেতাদের অগ্রাধিকার? কসবার (Kasba) পর এবার কাকদ্বীপ (Kakdwip) কলেজে ঘিরে উঠল একই প্রশ্ন। আর এই ইস্যুতে ফের দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)।
কাকদ্বীপ কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) সাত জন নেতা-কর্মী অস্থায়ী কর্মী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। ২০২২ সাল থেকেই তাঁরা কলেজে কাজ করছেন বলে জানা গিয়েছে। কলেজের পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান তথা কাকদ্বীপের তৃণমূল বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বীকার করে নিয়েছেন, ন্যাক মূল্যায়নের সময় প্রয়োজন ছিল বলেই নিয়োগ করা হয়েছে। পরীক্ষা ছাড়াই গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তে তাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে বলেই তাঁর দাবি।
মন্টুরাম জানিয়েছেন, “সকলেই আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারের সন্তান। অস্থায়ীভাবে কাজ করছেন।" যদিও কলেজের অধ্যক্ষ শুভঙ্কর চক্রবর্তী পাল্টা দাবি করেছেন, "আমি যোগ দেওয়ার আগেই এই নিয়োগ হয়েছে।"
এমন ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা চরমে উঠেছে। তার মধ্যেই দলের অবস্থান অগ্রাহ্য করে ফের সরব কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যক্তিগত মত জানাতে গিয়ে যেন একরকম দলীয় নেতৃত্বকেই বিঁধলেন তিনি।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “নেতাগিরিও করবেন আবার চাকরিও করবেন? এটা আমি মেনে নিতে পারছি না। যদি কাউকে চাকরি দিতেই হয়, কর্মীদের দিন, নেতাদের নয়। এটা কোনও নতুন ব্যাপার নয়, সিপিএম জমানাতেও হয়েছিল, তৃণমূল আসার পরও হয়েছে। তবে নেতাদের কাজ দেওয়ার বিষয়টা এবারই জানলাম!”
নিজের মন্তব্য যে আবারও বিতর্কের কেন্দ্রে আসতে পারে, সে সম্ভাবনা মাথায় রেখেই কল্যাণ এও বলেন, “অবশ্যই লিখে দেবেন এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। না হলে আবার AITC বলবে, ‘দল আমার সঙ্গে নেই’।”
উল্লেখ্য, কসবা কলেজের গণধর্ষণকাণ্ডে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কল্যাণ এবং মদন মিত্র। সেই সময় দলের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল, তাঁদের বক্তব্য দল সমর্থন করে না।
তবে কল্যাণ সরব হতেই দলের অন্দরে একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন, বারবার দলবিরোধী মন্তব্য দেখেও কেন চুপ থাকছে নেতৃত্ব? এ ব্যাপারে অবশ্য দলের কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। প্রতিক্রিয়া এলে প্রতিবেদনে আপডেট করা হবে। তবে প্রকাশ্যে কল্যাণের এহেন 'সত্যবচনে' দলের অস্বস্তি যে বাড়ছে তা বলাইবাহুল্য।