শেষ আপডেট: 31st October 2024 17:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একের পর এক ভুয়ো সাক্ষী আদালতে পেশ করে বেকসুর খালাস হয়ে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। মামলাকারীও তাঁর এই কীর্তি ধরতে পারেননি। এদিকে অভিযুক্ত পুলিশে চাকরি পাওয়ার পরই তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করে জানা যায় সবটা।
মালদার মানিকচকের ঘটনা। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে সরিকুল আলমের বাড়িতে ঢুকে দিলদার হোসেন ও তাঁর দলবল তাঁকে আক্রমণ করেন। দিলদার হাঁসুয়া দিয়ে সরিকুলের মাথায় কোপ বসান। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলে গ্রেফতার হন দিলদার। ঘটনায় পুলিশ চার্জশিটও পেশ করে। কিন্তু মুক্তি পেয়ে যায় দিলদার। সরিকুল ভেবেছিলেন দিলদার আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন, মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
সরিকুল সদ্য জানতে পারেন অভিযুক্ত দিলদার পুলিশে চাকরি পেয়েছেন। ফৌজদারি অপরাধে বিচারাধীন অভিযুক্ত কী করে সরকারি চাকরি পেলেন? তথ্য জানার অধিকারে সেকথা জানতে চেয়ে আবেদন করেন তিনি। তার জবাব এলে জানা যায় ২০২২ সালে আদালত থেকে বেকসুর খালাস হয়ে যান অভিযুক্ত। ফলে চাকরি পেতে সমস্যা হয়নি।
আইনজীবী মারফৎ সরিকুল জানতে পারেন, ৩ ভুয়ো সাক্ষীকে আদালতে দাঁড় করিয়ে মামলা জিতেছেন দিলদার। ২০২২ সালের মে থেকে জুলাই মাসের মধ্যে ওই ৩ জন আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন বলেও জানা যায়। যদিও আসল ব্যক্তিদের কাছে আদালতের তলবই পৌঁছয়নি বলে দাবি।
গোটা ঘটনায় আদালতে পুট আপ পিটিশন দায়ের করেছেন সরিকুলের আইনজীবী অমলকুমার দাস। তাঁর প্রশ্ন, কোনও পরিচয়পত্র যাচাই না করে কী করে কারও পরিচয় নিশ্চিত করা হল? শুধু তাই নয়, আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলছেন, এর পিছনে আদালতের কোনও কর্মীর হাত রয়েছে।