শেষ আপডেট: 19th August 2024 16:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি করের রেশ এবার কলকাতা হাইকোর্টে। আরজি কর ইস্যুতে কটু মন্তব্য করার অভিযোগে আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়লেন বিক্ষোভকারী আইনজীবীরা। দু'পক্ষের মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়। ঘটনার জেরে সোমবার দুপুরে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয় হাইকোর্টের বি গেটের সামনে।
গত ৮ ই অগস্ট গভীর রাতে আরজিকর হাসপাতালে চারতলার সেমিনার হলে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে কলকাতা-সহ দেশজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত হচ্ছে। দ্রুত ঘটনার ন্যায়বিচার চেয়ে এদিন হাইকোর্ট চত্বরে মিছিল করেছিলেন আইনজীবীরা।
অভিযোগ দল মত নির্বিশেষে মিছিলে সামিল হওয়া ওই আইনজীবীদের একাংশের উদ্দেশে আরজি কর ইস্যু নিয়ে কটু মন্তব্য করেন তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, বিক্ষোভকারী আইনজীবীদের তরফেও পাল্টা কটু মন্তব্য করা হয়। এরপরই তুমুল বচসা ও বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন দু'পক্ষের আইনজীবীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোর্টপাড়ায় তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়।
আরজি কর ইস্যুতে এদিন আইনজীবীদের বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব ছিলেন ফিরদৌস শামিম, তরুণজ্যোতি তিওয়ারির, সুদীপ্ত দাশগুপ্ত, সায়ন বন্দোপাধ্যায়রা। ফিরদৌস, তরুণজ্যোতিরা বলেন, আরজি করে যে ঘটনা ঘটেছে, তার নিন্দায় প্রকাশ করার মতো ভাষা আমাদের জানা নেই। রাজ্য সরকার এবং শাসকদলের একাংশ নানাভাবে মামলাটিকে লঘু করার চেষ্টা করছে। এর প্রতিবাদে দল মত নির্বিশেষে সোমবার হাইকোর্টের সমস্ত আইনজীবীরা প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করে। তখনই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কটুক্তি করেন।
আইনজীবী ফিরদৌস, তরুণজ্যোতিরা বলেন, "কল্যাণবাবু আইনজীবী হলেও উনি আগে তো তৃণমূল নেতা। দলের কাছে জবাবদিহি করার বিষয় রয়েছে। তাই আইনজীবী হিসেবে নয় উনি তৃণমূলের নেতা হিসেবে কটুক্তি করে নিজের ও দলের পরিচয় আবার সামনে আনলেন!"
এ ব্যাপারে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আরজি করের ঘটনায় আমরাও দুঃখিত আমরাও বিচার চাই। মুখ্যমন্ত্রীও সেকথা বারে বারে বলেছেন। কিন্তু অনেকে সংবাদমাধ্যমে অসত্য তথ্য দিচ্ছেন। এরই প্রতিবাদ করেছিলাম।" কল্যাণ আরও বলেন, "কারও কাছে সঠিক তথ্য থাকলে তিনি সিবিআইকে দিন। এভাবে আলপটকা মন্তব্য করে তদন্তকে প্রভাবিত করা ঠিক নয়।’’
তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিনের আইনজীবীদের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, রাজ্যের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এবং জয়ন্ত মিত্র।