ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 21 April 2025 06:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত ১১ এপ্রিল থেকে উত্তপ্ত পরিস্থিতি ছিল মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় (Waqf Act Protest) কার্যত তাণ্ডব চলে জেলায়। তবে তিন-চার দিন পর থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছিল বলে দাবি করেছিল রাজ্য পুলিশ। সোমবার, মূল ঘটনার প্রায় ১০ দিন পর মুর্শিদাবাদে খুলেছে স্কুল। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, আগের থেকে অনেকটা স্বাভাবিক পরিস্থিতি মুর্শিদাবাদের।
ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় ঘর-বাড়ি, দোকানপাট ভাঙচুর থেকে শুরু করে পুলিশের গাড়িতে হামলা, খুন, লুটপাট... সবই হয়েছে মুর্শিদাবাদে। বহু মানুষ প্রাণ বাঁচাতে পড়শি জেলা মালদহ বা পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডে পালিয়ে গেছিলেন। রাজ্য পুলিশ সকলকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন যে, পরিস্থিতি ১০০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আনতে তাঁরা কাজ করছেন। প্রয়োজনে দোষীদের পাতাল থেকেও খুঁজে আনা হবে। গত সপ্তাহে রাজ্যপাল, মহিলা কমিশন এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও জেলা পরিদর্শনে গেছিল। সোমবার জেলায় স্বাভাবিক গাড়ি চলাচল করা থেকে শুরু করে স্কুল খুলেছে।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ১১ এপ্রিল থেকে স্কুল বন্ধ ছিল হিংসার ঘটনার কারণে। তবে সোমবার থেকে তা খুলেছে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হচ্ছে। তবে এলাকাবাসীরা এখনও আতঙ্কিত। নতুন করে অশান্তির কোনও ঘটনা না ঘটায় তাঁরা কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন বটে, তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে কী হবে, সে নিয়ে চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। স্কুল খোলার পাশাপাশি, রাস্তায় টোটো থেকে শুরু করে বাস, অটো, সবই চলাচল শুরু হয়েছে আগের মতো।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মুর্শিদাবাদে বাড়তি পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এখনও পর্যন্ত আধাসেনার টহল চলছে জেলায়। রাজ্যপাল পরিদর্শনে গেলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছিলেন, এলাকা ছেড়ে চলে না গেলে ক্ষতি করা হবে বলে ভয় দেওয়া হচ্ছে। এলাকাবাসী এও আশঙ্কা করেন, বিএসএফ যতদিন আছে ততদিন তাঁরা সুরক্ষিত। তাঁরা চলে গেলেই ফের হামলা হতে পারে তাঁদের ওপর। তাই এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও পরবর্তী সময়ে আবার কোনও হিংসার ঘটনা ঘটবে কিনা, তা নিয়ে আতঙ্কে সকলে।
মুর্শিদাবাদে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তার জন্য সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এলাকাবাসীদের মতো তিনিও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, যতদিন জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে, ততদিন ভাল। বাহিনী সরে গেলেই আবার হিংসা শুরু হবে। যদিও রাজ্য পুলিশ স্পষ্টত জানিয়েছে, হিংসার ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে তাঁরা বদ্ধপরিকর।