শেষ আপডেট: 9th January 2025 19:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গঙ্গাসাগরে গত বছর এসেছিলেন ১ কোটি পুণ্যার্থী। এবারে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসেন। স্বভাবতই, এই মেলার অন্যতম সমস্যা হল ভাষা। কেউ বাংলা বোঝেন তো কেউ হিন্দি। ভাষার সমস্যা সমাধানে তাই এবারে মেলায় আগত প্রতিটি বাসে একজন করে সাগর বন্ধু বা সাগর দোস্ত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। এই সাগরবন্ধু মূলত দোভাষীর কাজ করে। কেউ ভাষাগত কোনও সমস্যায় পড়লে তাকে সহযোগিতা করবেন এই বিপদ বন্ধু।
বৃহস্পতিবার বিকেলে আউট্রাম ঘাট থেকে ফ্ল্যাগ নেড়ে অত্যাধুনিক ই-ভেসেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই একথা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গঙ্গাসাগরের মেলাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই দেশ বিদেশ থেকে পুণ্যার্থীরা আসতে শুরু করেছে। এবারে ১৪ তারিখ ভোর থেকে ১৫ তারিখ ভোর স্নানের পবিত্র মুহূর্ত। মুখ্যমন্ত্রীর জানান, এবারে মেলাকে কেন্দ্র করে ২৩০০ সরকারি বাস, ২৫০ বেসরকারি বাস, ৯টি বার্জ, ৩২ ভেসেল, ১০০ লঞ্চ এবং ২১ জেটি তৈরি রাখা হয়েছে।
বিপুল জন সমাগমের জেরে অনেকেই মেলায় এসে প্রিয়জনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে হারিয়ে যান। মুশকিল আসানের জন্য অন্যান্যবারের মতো এবারও থাকছে জিপিএস, স্যাটেলাইট সিস্টেম। কয়েক হাজার পুলিশ কর্মীর পাশাপাশি মেলায় থাকবে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরাও। গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য থাকবে বাড়তি নজরদারিও।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, মেলার জন্য যেহেতু তীর্থকর নেওয়া হচ্ছে। তাই যাতায়াতে একটা টিকিট কাটলেই হবে। কুয়াশা বেশি হতে পারে। তাই বেশি পরিমাণ আলোর ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
পুণ্যার্থীদের উদ্দেশে মমতা এও বলেন, "জলের স্রোতের ওপর নির্ভর করে ভেসেল ছাড়া হয়। ফলে অযথা তাড়াহুড়ো করবেন না।" প্রতিবারের মতো এবারও মেলায় আগত পুণ্যার্থীদের জন্য ৫১৫ শয্যার হাসপাতাল রাখা হচ্ছে। ফাস্ট এড থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, এয়ার এবং ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স রাখা হবে। এমনকী ক্রিটিক্যাল রোগীর জন্য গ্রিন করিডরের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। এছাড়াও গঙ্গাসাগর মেলায় এবারে প্রতিটি ভাষায় অ্যানাউন্স হবে। যাতে ভাষার সমস্যা না হয়।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, এবারে গঙ্গাসাগর মেলায় যে প্রসাদী ব্যাগ দেওয়া হবে সেটি ইকো ফ্রেন্ডলি। এতে প্লাস্টিকের কোনও ব্য়বহার থাকছে না। আগুন সম্পর্কেও পুণ্যার্থীদের সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।