শেষ আপডেট: 8th March 2025 11:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জেলা থেকে চিকিৎসার জন্য রোগীকে নিয়ে এলেও কলকাতার সরকারি হাসপাতালে (Kolkata Government Hospital) ভর্তি করা যায় না, বছরের পর বছর ধরে চলে আসা সেই অভিযোগই যেন আবার প্রকটভাবে ধরা পড়ল।
হুগলির পোলবার সুগন্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের নির্বাচিত সদস্য অপর্ণা পাত্র(২৫)। গত ৬ জানুয়ারি সিজারের পর কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। তখন থেকেই কোমায় অপর্ণা। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, ৮০ শতাংশ ব্রেন ডেড হয়েছে প্রসূতির, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না। বেসরকারি হাসপাতালের খরচ সামলাতে না পেরে সম্প্রতি অপর্ণাকে বাড়িতে নিয়ে যান পরিজনেরা।
বিষয়টি জানতে পেরে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার অপর্ণার পরিবারকে পরামর্শ দেন, বাঙ্গুরে নিয়ে যেতে। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ওএসডি কুণাল দাস নামে একজনের নম্বরও দেন।
বিধায়কের আশ্বাসে অসুস্থ অপর্ণাকে নিয়ে শুক্রবার বাঙ্গুরে যান পরিজনেরা। অপর্ণার ভাই প্রসেনজিৎ মাজি জানান, বিধায়ক যে নম্বর লিখে দিয়েছিলেন সেই নম্বরে কেউ ফোন ধরেননি। ফলে বাঙুরে গিয়ে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হতে হয় তাঁদের। পরে এক পুলিশের সাহায্যে লাইনে দাঁড়িয়ে আউটডোরে রোগীকে দেখিয়ে ফের অ্যাম্বুলেন্সে করে চুঁচুড়া নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রসেনজিতের কথায়, "বিধায়ক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হল না।" পরে এ ব্যাপারে একরাশ হতাশা প্রকাশ করে চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, "এটা আমারই ব্যর্থতা। যে আমি রোগীকে ভর্তি করতে পারলাম না।"
এর আগে চুঁচুড়ার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন সেখানে গিয়েছিলেন হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিকিৎসায় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছিলেন। পরিজনদের বক্তব্য, আশ্বাস সবাই দিচ্ছে, কিন্তু চিকিৎসা মিলছে না।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে জনমানসে শোরগোল তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, বিধায়কের রেকমন্ডেশন নিয়ে গিয়েও যদি এভাবে দুর্ভোগে পড়তে হয়, তাহলে সাধারণ মানুষকে কী ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়? এ ব্যাপারে অবশ্য বাঙ্গুর হাসপাতালের কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।