ইলেকট্রিক সাইকেলে পুলিশের নজরদারি।
শেষ আপডেট: 9th October 2024 17:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো: '৩ দিনের মধ্যে রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে ৯০% কাজ হয়ে যাবে', গত সোমবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে আশ্বাস দিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন তোলার আর্জি রেখেছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।
হিসেব মতো বুধবারই ছিল তৃতীয় দিন। এদিন কলকাতার একাধিক হাসপাতালে ইলেকট্রিক সাইকেলে চড়ে হাসপাতাল ক্যাম্পাসে নজরদারি চালাতে দেখা গেল কলকাতা পুলিশকে।
প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, শুধু মৌখিক আশ্বাস নয়, হাসপাতালের নিরাপত্তা সংক্রান্ত দাবিগুলি দ্রুততার সঙ্গে পূরণ করার প্রক্রিয়া প্রায় শেষের পথে।
হাসপাতালের নিরাপত্তা-সহ ১০ দফা দাবিতে গত শুক্রবার রাত থেকে ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে অবস্থানে বসেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। শনিবার রাত থেকে সেখানে শুরু হয়েছে অনশন। সোমবার থেকে তাতে সামিল হয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। মঙ্গলবার আরজি করের ৫০ জনেরও বেশি চিকিৎসক গণ ইস্তফা দিয়েছিলেন। বুধবার সেই একই পথে হাঁটলেন কলকাতা ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা। এমন আবহে হাসপাতালগুলিতে প্রশাসনিক নজরদারি বৃদ্ধির এই ছবি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
গত শুক্রবার নবান্ন থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করেছিলেন, ডাক্তারদের সুরক্ষার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়েই দেখছে সরকার। 'রাত্তিরের সাথী' প্রকল্পে ইতিমধ্যে ১১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ৪৫ শতাংশের বেশি সিসিটিভির কাজ হয়ে গেছে। এছাড়া ওয়াশরুম সংক্রান্ত ৬৫ শতাংশ কাজ এগিয়ে গেছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যসচিব। তিনি এও বলেন, ১৫ অক্টোবর থেকে পাইলট প্রজেক্টের কাজ শুরু হবে। সব ঠিক হলে প্যানিক বটন-এর কাজ শুরু হবে পয়লা নভেম্বর থেকে।
প্রশাসনের দাবি, আমরা যে কাজও করছি, নজরদারি বৃদ্ধি তারই প্রমাণ। তবে এখনই এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি জুনিয়র চিকিৎসকরা। বলছেন, জিবি বৈঠকের পরই জানানো হবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত।