সম্প্রতি বাংলাদেশি নাগরিক নিউটন দাসকে নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। তাঁর নাম ভোটার তালিকায় উঠে যায় বলে অভিযোগ।
প্রতীকী ছবি
শেষ আপডেট: 14 June 2025 10:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পাকিস্তানি আজাদ মল্লিকের (Azad Mallick) হাত ধরে ভোটার তালিকায় ৭৮ বিদেশির নাম! এই তালিকা নিয়েই নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি (ED)। তাঁরা এই ইস্যুতে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়ে। সূত্রের খবর, সেই কারণেই একটি নয়, দু-দুটি চিঠি দেওয়া হয়েছে কমিশনে।
উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটি বাঁকড়া এলাকা থেকে আজাদ মল্লিককে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। নিজেকে বাংলাদেশি (Bangladeshi) বলে দাবি করা আজাদ যে আদতে পাকিস্তানের (Pakistani) বাসিন্দা, সেই প্রমাণ আগেই মিলেছে। এবার ইডির হাতে তথ্য এসেছে, রানাঘাট, মধ্যমগ্রাম, চাকদার ভোটার তালিকায় তিনি কমপক্ষে ৭৮ জনের নাম ঢুকিয়েছেন। এখন প্রশ্ন উঠেছে, এই ৭৮ জন কী বাংলাদেশি না আজাদের মতোই পাকিস্তানি। উত্তর খুঁজতেই নির্বাচন কমিশনে ইডি চিঠি পাঠিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
ইতিমধ্যে আজাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (Chargesheet) জমা দিয়েছে ইডি। তাঁদের দাবি, যে সন্দেহজনক ৭৮ জন রয়েছে তাদের ভারতে আসতে এবং ভারতীয় নথি তৈরি করতে সাহায্য করেছে আজাদই। মনে করা হচ্ছে, এরা বেশিরভাগই বাংলাদেশি। কিন্তু আদতে তাদের নাগরিকত্ব কী, সেটা জানাই এখন মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে ইডির কাছে। বিষয়টি স্পষ্ট যে, এই ৭৮ জনের কাছে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড বা পাসপোর্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথির যে কোনও একটি বা সবকটি রয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে এই ৭৮ জনের নাম কোন কোন বিধানসভা এলাকার ভোটার তালিকায় রয়েছে তা জানার চেষ্টায় ইডি।
সম্প্রতি বাংলাদেশি নাগরিক নিউটন দাসকে নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের পর কাকদ্বীপের তৃণমূল নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন নিউটন। এর পর তাঁর নাম ভোটার তালিকায় উঠে যায় বলে অভিযোগ। তবে ভারতের ভোটার তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এদিকে এই ৭৮ জনের নাম নিয়েও ইডির আর্জি, তাদের নাম ভোটার তালিকায় থাকলে তা বাদ দেওয়া হোক।
আজাদকে নিয়ে ইডির দাবি, নাম পরিচয় ভাঁড়িয়ে বাংলার দুটি আলাদা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নিজের ভোটার আই কার্ড এবং দুটি পৃথক ড্রাইভিং লাইসেন্সও তৈরি করেছিল সে। একই সঙ্গে গত ৩-৪ বছরের মধ্যে আজাদের অ্যাকাউন্টে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ঢুকেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। জাল পাসপোর্ট ও ভিসা তৈরির বিনিময়েই আজাদ এত অল্প সময়ের মধ্যে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কামিয়েছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।