ফাইল ছবি।
শেষ আপডেট: 20th July 2024 15:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কেঁচো খুড়তে কেউটে!
আদালতের নির্দেশে প্রাথমিকের উধাও ওএমআর শিটের খোঁজ পেতে গত ৯ জুলাই থেকে টেটের ওএমআর মূল্যায়নকারী সংস্থা এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির অফিসে টানা তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। তল্লাশিতে নেমেছিল অপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিও।
ইডি সূত্রের খবর, কোম্পানির অফিসে নতুন করে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে হিসেব বহির্ভূত প্রায় এক কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে নগদ অর্থের পাশাপাশি রয়েছে কোম্পানির একাধিক ফিক্সড ডিপোজ়িটও।
আদালতের নির্দেশে ২০১৪ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতির তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিযোগ, ওএমআর শিটের নম্বর বদলে বহু অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীকে চাকরির সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
ওই মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে আদালতে আগেই জানানো হয়েছিল যে, ওএমআর শিটের হার্ডডিস্ক তাঁদের কাছে নেই। ডিজিটাইজ়ড তথ্য রয়েছে। সিবিআইয়ের আইনজীবীও আদালতকে জানিয়েছিলেন, "হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করার আগেই ওএমআর শিটের আসল তথ্য নষ্ট করা হয়েছে। ফলে আমরা ডিজিটাইজ়ড তথ্য পেয়েছি। যা সহজেই পরিবর্তন করা যায়।"
এরপরই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে গত ৫ জুলাই কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআইকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল ওএমআর শিট ও সার্ভার দুর্নীতির শেষ দেখতে তাঁদের অলআউট ঝাঁপাতে হবে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা আদালতে এও বলেন, "মেটাডেটা কখনওই মুছে ফেলা সম্ভব নয়। হার্ড ডিস্ক নষ্ট হলেও সার্ভারে অরিজিনাল ডেটা থাকবেই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তা দিতে ব্যর্থ হলে বলতে হবে, তদন্ত ভুল পথে চলছে।"
বিচারপতির কড়া নির্দেশের পরই কার্যত নাওয়া খাওয়া ভুলে সাইবার বিশেষজ্ঞদের নিয়ে প্রাথমিকের উধাও ওএমআর শিটের খোঁজ পেতে সার্দান অ্যাভিনিউয়ের এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির অফিসে টানা কয়েকদিন তল্লাশি অভিযান চালান সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। গরমিলের গন্ধ পেয়ে নতুন করে অভিযানে নামে ইডিও। তারপরই এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর।