শেষ আপডেট: 15 January 2024 06:32
দ্য় ওয়াল ব্য়ুরো: সপ্তাহের শুরুতেই রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ফের একবার তৎপর হল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। শহরের চার জায়গায় হানা দিল ইডি। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে এমনিতেই উত্তেজনা বহাল আছে বঙ্গে। সেই উত্তেজক পরিস্থিতির মধ্য়েই আবারও ইডির তল্লাশি অভিযানে সরগরম হল রাজ্য়। সোমবার সকালেই শঙ্কর আঢ্য়ের সল্টলেকের অফিস সহ চার জায়গায় হানা দিয়েছে ইডি।
রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে রাজ্য়ের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারের পর মামলার তদন্তে উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বালু-বাকিবুরের মাঝেই বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যের নাম নিয়েও চর্চা শুরু হয়। কয়েকদিনের মধ্য়েই তিনি গ্রেফতার হন। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অনুমান, শুধু নিজে নন, সপরিবারে রেশন দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান। আর সেই কারণে তাঁর পরিবারকেও তলব করা হয়। এবার তাঁর অফিস সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু করল ইডি। জানা গিয়েছে, শঙ্কর আঢ্য়ের সল্টলেকের চাটার্ড অ্য়াকাউন্ট অফিস ছাড়াও চৌরঙ্গী এলাকার তাঁর আরও এক অফিসে হানা দিয়েছে তারা।
এরই মাঝে আবার এক রহস্য়ময় চিঠিকে কেন্দ্র করে আলোচনা শুরু হয়। গত শনিবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ইডি দাবি করেছিল, রেশন দুর্নীতিতে কার কাছ থেকে কত টাকা নিতে হবে এবং কত টাকা দিতে হবে, সংশ্লিষ্ট চিঠিতে সেই উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু গ্রেফতার হওয়ার পর বালুকে চিনতেই অস্বীকার করেছিলেন শঙ্কর। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি সটান লেনদেনের কথা উড়িয়ে দেন। কিন্তু ইডি যা দাবি করছে তাতে বিস্ময় থাকছেই। কারণ, তাদের দাবি রেশনে ১০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।