শেষ আপডেট: 7th February 2024 20:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সময় যত গড়াচ্ছে ততই রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে ইডির হাতে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ক্রমশ বাড়ছে দুর্নীতির টাকার অঙ্কের হিসাব। কিন্তু তদন্তে নেমে এখনও শাহজাহানের নাগাল পাননি কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। দ্বিতীয়বার নোটিস দিয়ে তলব করলেও এখনও সন্দেশখালির তৃণমূল নেতার খোঁজ পেলেনি। তাই শেখ শাহজাহানের বিষয়ে আরও তথ্য জোগাড় করতে চাইছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বুধবার তাঁকে ফের এক প্রস্ত জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছে যান তদন্তকারী অফিসাররা। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রাক্তন মন্ত্রীকে জেরা করেছেন ইডির অফিসাররা। বিশেষ করে এই দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত অপর তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এদিন বালুকে জেরা করা হয়েছে। যার মধ্যে শাহজাহান প্রসঙ্গও ছিল বলে সূত্রের খবর।
সূত্র মারফত এও জানা গিয়েছে, এদিন রেশন দুর্নীতিতে শেখ শাহজাহানের ভূমিকা কী ছিল, সন্দেশখালির ওই তৃণমূল নেতা রেশন দুর্নীতির সঙ্গে ঠিক কীভাবে যুক্ত ছিলেন, সেই সব বিষয়েই এদিন বালুকে ইডির অফিসারদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়।
গত ৫ জানুয়ারি গভীর রাতে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান শংকর আঢ্যকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এরপর শংকর ও তাঁর পরিজনদের নামে ১৯টি বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় সংস্থার সন্ধান পেয়েছেন তদন্তকারীরা। যার মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের।
শঙ্কর ছাড়া আরও কারোর মাধ্যমে রেশন দুর্নীতির টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে কিনা, সেই বিষয়েই উত্তর খুঁজছে ইডি। ইতিমধ্যে এই নিয়ে কিছু তথ্য মিলেছে বলে ইডি সূত্রের খবর। যার রেশ ধরেই এদিন জেলে গিয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ইডির অফিসাররা জেরা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আগামী ১২ তারিখ শাহজাহানের আগাম জামিনের মামলার শুনানি রয়েছে। সূত্রের খবর, তার আগে শেখ শাহাজাহানের বিষয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জোগাড় করতে চাইছে ইডি। এদিকে বুধবার দ্বিতীয়বারের জন্য ইডির হাজিরা এড়িয়েছেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। আইনজীবী মারফত ইডির অফিসে চিঠি পাঠালেও তা ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, ইডির বিরুদ্ধে হেফাজতে হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন শঙ্কর আঢ্য। সূত্রের খবর, জোর করে কথা বলিয়ে নেওয়া হচ্ছে, কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিচারকের কাছে এই মর্মে তিনি চিঠি দিয়েছেন।