শেষ আপডেট: 12th January 2024 17:20
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফের একটা শুক্রবার। সকাল থেকেই অ্যাকশন মোডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় ও উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতে হানা দেন ইডি অফিসাররা। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই তল্লাশি অভিযান বলেই ইডি সূত্রে খবর।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেন রাজ্যের এই তিন হেভিওয়েট নেতার বাড়িতে গেছেন ইডি আধিকারিকরা? সূত্রের খবর, পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত অয়ন শীলের এক ডায়েরির সূত্র ধরেই এই তল্লাশি অভিযান। এই অয়ন শীলের সল্টলেকের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়েই প্রথম পুর নিয়োগ দুর্নীতির খোঁজ পায় ইডি। সেই সময় তাঁর বাড়ি ও অফিস থেকে বেশকিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। বাজেয়াপ্ত করা জিনিসের মধ্যেই ছিল একটি ডায়েরি।
ইডি সূত্রে খবর, ডায়েরির পাতায় কিছু সাঙ্কেতিক কোড লেখা আছে। যা দেখে সন্দেহ হয় অফিসারদের। 'এসবি', 'এমএম' ও 'তাপস দা'-- এইসব নাম লেখা আছে ডায়েরিতে। শুধু তাই নয়, সেখানে টাকা লেনদেনেরও উল্লেখ আছে বলেও শোনা যাচ্ছে।
অয়ন শীল নিজের ডায়েরিতে নাকি কোড নেমের মাধ্যমেই প্রভাবশালীদের নাম লিখে রাখতেন। সেই নিয়ে অয়ন শীলকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। এইসব কোড নেমের অর্থ কী, তা জানতে চাওয়া হয় অয়নের থেকে।
ইডি সূত্রে খবর, 'এসবি' সাঙ্কেতিক কোড দিয়ে সুজিত বসুকেই বোঝাতে চেয়েছিলেন অয়ন। দমকলমন্ত্রীর নাম ও পদবির আদ্যক্ষর দিয়ে এই কোড নেম বানানো হয়েছিল। সেই ডায়েরিতে পুরসভার বিভিন্ন পদে বিভিন্ন জনকে চাকরি দেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন 'এসবি', এমনই উল্লেখ আছে বলে দাবি ইডির। শুধু তাই নয়, সেই সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়োগ হয়েছে বলেও খবর।
তদন্তকারী সংস্থার দাবি, উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালীন সুজিত বসুর সহকারী হিসেবে কাজ করতেন নিতাই দত্ত। পরে সুজিতের হাত ধরেই পুরসভার কাউন্সিলর হন নিতাই। সম্প্রতি তাঁকে জেরা করেছিলেন তদন্তকারীরা। সূত্রের দাবি, জেরায় নিতাইও সুজিত বসুর নামোল্লেখ করেছেন। তারই ভিত্তিতে এদিনের অভিযান। এছাড়া 'এমএম' বলে যে সাঙ্কেতিক কোড আছে, সেটি সম্পর্কে বিশদ কিছু জানা যায়নি।