শেষ আপডেট: 5th April 2024 12:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ব্যাঙ্কের চৌহদ্দিতে পা না রেখেও সম্পূর্ণ অন্য পথে কালো টাকা সাদা করতেন 'সন্দেশখালির বাদশা' শেখ শাহজাহান। আগেই আদালতে একথা জানিয়েছিল ইডি।
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, এবার শাহজাহানের কালো-সাদা টাকার এই লেনদেনর হিসেব রাখার ডায়েরির খোঁজ মিলেছে। ইডি সূত্রের দাবি, এক নয়, একাধিক সাদা খাতায় এই বেআইনি কারবারের হিসেব লিখে রাখা হত। কখনও শাহজাহান নিজে কখনও বা তাঁর বিশ্বস্ত কর্মচারীরা ওই খাতার হিসেব রাখতেন।
ইতিমধ্যে সন্দেশখালি কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শাহজাহানের দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছেন তদন্তকারীরা। এছাড়াও আরও অন্তত ১৫ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ওপর নজর রাখছেব তদন্তকারীরা। ইডির দাবি, শাহজাহানের এই সাদা খাতায় অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে।
আগেই আদালতে ইডি জানিয়েছিল, জমি দখল করে তা বিক্রি করে দিত শাহজাহান। এবং সেই কালো টাকা চিংড়ি ব্যবসায় লাগানো হত। ফলে সরাসরি আর্থিক লেনদেনের কোনও প্রমাণ নেই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। তবে শাহজাহানের মেয়ের সংস্থা সাবিনা এন্টারপ্রাইজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৩৭ কোটি টাকার লেনদেনের হিসাব পাওয়া গিয়েছে।
শাহজাহানের এই ডায়েরি থেকে ওই বিপুল সম্পত্তির বিষয়ে একাধিক তথ্য মিলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইডি আগেই আদালতে দাবি করেছে, শাহজাহান একা নয় এই বেআইনি ব্যবসার সঙ্গে আইজুল মোল্লা, সাবির গাজি, রেজাউল নাইয়া, নাসির শেখ, আবদুল মোল্লা, সইফুদ্দিন শেখ, মুজিবর শেখ ও আবদুল খালেক মোল্লা নামের একাধিক ব্যক্তি ছিল। পাশাপাশি শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর ও শেখ সিরাজউদ্দিন ছাড়াও আরও বেশ কিছুজনের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, এখনও পর্যন্ত যে পরিমাণ বেআইনি লেনদেনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে, তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। যদিও ইডির এমন দাবিকে পাত্তা দিতে নারাজ শাহজাহান। বুধবার তিনি দাবি করেছিলেন, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। আর শুক্রবার শাহজাহানের দাবি, "সব মিথ্যা। ওরা বিজেপির দালাল।’