শেষ আপডেট: 2nd July 2024 13:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনাকালে দক্ষিণ দমদম পুরসভায় ২৯ জনের বেআইনিভাবে নিয়োগ হয়েছিল। আর সেই নিয়োগে জড়িত রয়েছেন ওই পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাঁচু রায়। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিটে এমনটাই দাবি করেছে সিবিআই।
পাঁচু রায়ের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে? ইডি সূত্রের খবর, কোভিড পরিস্থিতিতে দক্ষিণ দমদম পুরসভায় একই দিনে বিজ্ঞপ্তি বেরোনোর পর নিয়োগপত্র দেওয়া হয় এবং ২৯ জনের ওই দিনই চাকরি হয়। ওই নিয়োগ পুরোপুরি বেআইনি ছিল বলে দাবি ইডির। সেই সময় দক্ষিণ দমদম পুরসভায় চেয়ারম্যান ছিলেন পাঁচু রায়। তাই সংশ্লিষ্ট বেআইনি নিয়োগে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল ইডি। কিন্তু একইদিনে কীভাবে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছিল? সেবিষয়ে পাঁচু রায় সদুত্তর দিতে পারেননি বলে দাবি তদন্তকারীদের।
তদন্তে নেমে সিবিআইয়ের আধিকারিকরা জানতে পারেন, ৬০টি পুরসভায় বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা। যদিও সিবিআই সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট ২৯ জনের চাকরি টাকার বিনিময়ে দেওয়া হয়েছিল কিনা, তা নিয়ে চার্জশিটে কোনও উল্লেখ নেই। সেই বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। সোমবার সন্ধ্যায় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। সেখানেই অয়ন শীল, পাঁচু রায় সহ একাধিক সংস্থার নাম রয়েছে।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের পর অয়ন শীলের নাম প্রকাশ্যে আসে। এরপর সল্টলেকে অয়নের অফিস এবং হুগলিতে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। অয়ন শীলের বাড়ি থেকে দিস্তা দিস্তা ওএমআর শিট সহ ২৮ পাতার একটি নথি পান তদন্তকারীরা। প্রাথমিকভাবে যা নিয়োগ সংক্রান্ত নথি মনে করা হলেও পরে দেখা যায় তা আসলে একাধিক পুরসভার নিয়োগের প্রার্থী তালিকা এবং সেই সংক্রান্ত সুপারিশ। একইসঙ্গে প্রার্থী তালিকায় থাকা নামের পাশে বেশ কিছু ‘কোর্ড ওয়ার্ড’ দেখতে পান তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
ইডির হেফাজতে থাকা নখিতে উত্তর দমদম, নিউ ব্যারাকপুর, দক্ষিণ দমদম সহ বিভিন্ন পুরসভার প্যানেলের তথ্য রয়েছে। সংশ্লিষ্ট নথি থেকে পুরসভাগুলিতে মেডিক্যাল অফিসার, ক্লার্ক, অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্যাশিয়ার, ড্রাইভার সহ একাধিক পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশের তালিকাও ইডির হাতে আসে। সেই সূত্র ধরেই দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান পাঁচু রায়ের নাম উঠে আসে তদন্তকারীদের হাতে।
এর আগে একাধিকবার সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাচুঁ রায়কে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। পাঁচু রায়ের বাড়িতে তল্লাশির সময়ে একাধিক নথি উদ্ধার হয়। তা থেকেই বেশ কিছু তথ্য সামনে আসে। সেই নিয়েই পাঁচু রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। এবার পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল সিবিআই।