দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।
সোমবার বেঙ্গালুরুতে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, মোদি ধাপে ধাপে ভারতের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছেন। তাঁর সরকারের যতই সদিচ্ছা থাক, বাস্তবে তিনি অর্থনীতির গুরুতর ক্ষতি করছেন। যুক্তি ও বিশ্লেষণ ছাড়াই অনেক কাজ হচ্ছে।
মনমোহন সিংয়ের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদ এই অভিযোগ করায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নানা মহলে। কেন্দ্রে অর্থমন্ত্রী থাকার সময় ১৯৯১ সালের বাজেটে তিনি উদার অর্থনীতির সূচনা করেন। ফলে অর্থনীতির হাল ফিরতে থাকে। সেই হেতু মনমোহনের কথার বিশেষ গুরুত্ব আছে।
মনমোহন সোমবার বলেছেন, বহু বছরের চেষ্টায় ভারতের অর্থনীতি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছিল। কিন্তু তা এখন ধাপে ধাপে ধ্বংস করা হচ্ছে। এনডিএ সরকার যে আর্থিক ক্ষেত্রে ব্যর্থ তা এখন স্পষ্ট। অর্থনীতির বিকাশের হার কমেছে, ব্যাংকিং ক্ষেত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, চাষিরা খুব সমস্যায় পড়েছেন, যেভাবে ভুল পদ্ধতিতে নোটবন্দি ও জিএসটি চালু হয়েছে তাতে মাঝারি ও ছোট ব্যবসায়ীদের লোকসান হয়েছে। লক্ষ লক্ষ চাকরির সুযোগও কমেছে।
পেট্রল ও ডিজেলের দাম এত বেড়েছে আগে কখনই বাড়েনি। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে এখন অপরিশোধিত তেলের দাম কম। আসলে মোদি সরকার তেলের ওপরে অত্যধিক শুল্ক বসিয়েছে। তেলের দাম কমায় দেশের জনগণ লাভবান হতে পারত। কিন্তু তার বদলে মোদি সরকার তাদের শাস্তি দিচ্ছে।
মোদির বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের সম্পর্কে এমন ভাষা ব্যবহার করছেন যা তাঁকে মানায় না। প্রর্ধানমন্ত্রী যদি এতদূর নীচে নামেন তা হলে দেশের ভালো হয় না।
এর আগে মোদি একাধিকবার অভিযোগ করেছেন, ৭০ বছরের কংগ্রেস শাসন দেশের অনেক ক্ষতি করেছে। এ দিন তার জবাবে মনমোহন বলেন, মোদি ভুলে গেছেন কংগ্রেসের আমলে সবুজ বিপ্লব হয়েছিল। এর ফলে আজ আমাদের দেশ খাদ্যশস্য রপ্তানি করতে পারে। আমাদের আমলে তথ্য জানার অধিকার, শিক্ষার অধিকার, খাদ্য নিরাপত্তা আইন, ১০০ দিনের কাজ ইত্যাদি চালু হয়েছে। কর্ণাটক বিশেষ মর্যাদা পেয়েছে। ইউপিএর নানা পলিসি দেশের ১৪ কোটি মানুষের দারিদ্র দূর করেছে।