শেষ আপডেট: 2nd March 2025 14:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অনলাইন পদ্ধতিতে ভোটার লিস্টে নাম তোলার সুযোগ নিয়ে, কমিশনকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি ভোটার লিস্টে ভূতুড়ে ভোটার ঢুকিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ এনেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
তৃণমূল নেত্রী দাবি করেছিলেন, "কমিশনের আশীর্বাদ নিয়ে দিল্লির ইলেকশন কমিশন অফিসে বসে আধার কার্ড কেলেঙ্কারি করে একই এপিক নম্বরে বাংলার ভোটারের নামের সঙ্গে রাজস্থান, বিহার, হরিয়ানার ভোটারের নাম যুক্ত করা হচ্ছে।" যদিও একই এপিক নম্বরে (Duplicate Epic Number) একাধিক নাম থাকা মানেই যে নকল বা ভুয়ো ভোটার নয় (Fake Vorter), স্পষ্ট করে দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)।
প্রায় প্রতিটি বিধানসভাতেই ২০ থেকে ৩০ হাজার ভূতুড়ে ভোটার ঢোকানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন, "বাংলা বহিরাগতদের সম্মান করতে জানে। কিন্তু বহিরাগতদের বাংলা দখল করতে দেব না। এটা বাংলা দখলের খেলা। এই খেলায় জিততে আর একটা গণ জাগরণ হবে প্রয়োজনে।"
এদিকে কমিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, একই এপিক নম্বর হলেও রাজ্য এবং ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী, ভোটারের ঠিকানা, বিধানসভা কেন্দ্র এবং ভোট কেন্দ্র আলাদা।
বস্তুত, দলনেত্রীর নির্দেশ মেনে তৃণমূল ভূতুড়ে ভোটার ধরতে বেরিয়েছে দিকে দিকে। কোচবিহারের মাথাভাঙা পুরসভা এলাকায় স্ক্রুটিনি করতে গিয়ে দেখা যায় একই এপিক নম্বরে উত্তরপ্রদেশের ভোটারের নাম রয়েছে। সেই নিয়ে চাঞ্চল্যও ছড়ায়। যদিও স্পষ্ট করে এদিন বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল, একই এপিক নম্বরে একাধিক নাম থাকতেই পারে।
পাল্টা কুণাল ঘোষের বক্তব্য, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হল। চক্রান্ত ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর এখন ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামছে কেন্দ্রের নির্বাচন কমিশন। একাধিক রাজ্যে একই ভোটারের নামের অভিযোগ যে ঠিক, সেকথা মান্যতা পেল। সব ফাঁস হয়ে যেতে কমিশন কিছু পদক্ষেপ নেবে বলেছে। কিন্তু আমরা ওদের কথায় বিশ্বাস/নির্ভর করব না। দলনেত্রীর নির্দেশ মতো ভোটার তালিকার বুথভিত্তিক, ঠিকানাভিত্তিক স্ক্রুটিনি পুরোপুরি চলবে। কমিশনের যে খবরই সংবাদমাধ্যমে থাকুক, সন্তুষ্ট হবার কারণ নেই। নেত্রীর নির্দেশমত স্ক্রুটিনির কাজ চলবে। এটা বাংলার মাটি। মহারাষ্ট্র, দিল্লির চক্রান্ত এই মাটিতে চলবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব ওদের সব ষড়যন্ত্র ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হবে। এখন আমাদের, দলের কাজ প্রতি বুথে, প্রতি ঠিকানায় ভোটার তালিকা মিলিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া। জয় বাংলা।"