দ্য ওয়াল ব্যুরো : অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলম জেলার পালাসা টাউনে থাকতেন এক বৃদ্ধ। বাড়ি বাড়ি কোভিড ১৯ টেস্ট করতে গিয়ে তাঁর করোনা ধরা পড়ে। ওই ব্যক্তির বয়স ছিল ৭২। তিনি ছিলেন পুরসভার অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী। কিছুদিন আগে করোনায় তাঁর মৃত্যু হয়। তখন কর্পোরেশন থেকে আর্থ মুভারে তাঁর দেহটি নিয়ে যাওয়া হয় শ্মশানে। একথা জানাজানি হওয়ার পরে রাজ্য জুড়ে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। খোদ মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগন মোহন রেড্ডি এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। সাসপেন্ড করা হয়েছে মিউনিসিপ্যালিটির দুই অফিসারকে।
একটি ভিডিওয় দেখা যায়, দেহটি জেসিবি মেশিনে চাপিয়ে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কয়েকজন অফিসার আছেন মেশিনটির সঙ্গে। তাঁরা করোনা থেকে বাঁচার জন্য বিশেষ ধরনের পোশাক পরে আছেন। মৃতদেহটি রাখা আছে মেশিনের সামনের দিকে।
ওই বৃদ্ধ বাড়িতেই মারা যান। তাঁর প্রতিবেশীরা আশঙ্কা করছিলেন, মৃতদেহ থেকে রোগ ছড়াতে পারে। বৃদ্ধের নাতনি পুরসভায় জানান, তাঁর দাদু কোভিড ১৯ রোগে মারা গিয়েছেন। তখন পুরসভা থেকে জেসিবি মেশিন পাঠানো হয়।
মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে বলা হয়েছে, পুরসভার কর্তারা অমানবিক আচরণ করেছেন। করোনায় মৃতদের শেষকৃত্যের জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। এক্ষেত্রে তা পালন করা হয়নি। অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার পুরো ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। শ্রীকাকুলমের ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর পালাসা মিউনিসিপ্যাল কমিশনার নগেন্দ্র কুমার ও স্যানিটারি ইনসপেক্টর এন রাজীবকে সাসপেন্ড করেছেন।
তেলুগু দেশম নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নায়ডু টুইট করে বলেছেন, "আমরা দেখেছি, করোনায় মৃতের শরীর প্লাস্টিকে মুড়ে জেসিবি মেশিনে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মৃত ব্যক্তিকে সম্মান দেওয়া হয়নি। জগনমোহন রেড্ডি সরকারের লজ্জা হওয়া উচিত।"
এর আগে গত ২৪ জুন শ্রীকাকুলমের সোমপেটা টাউনে করোনায় মৃত এক মহিলার দেহ ট্র্যাক্টরে চাপিয়ে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। দেশে করোনা অতিমহামারী দেখা যাওয়ার পরে নানা রাজ্যে অভিযোগ উঠেছে, ওই রোগে মৃতদের অমর্যাদা করা হচ্ছে।
গত শুক্রবার দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজারের বেশি মানুষ। গত তিন মাসে ওই রোগে মারা গিয়েছেন ১৫ হাজার ৩০১ জন।