শেষ আপডেট: 26th October 2024 09:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের পুনরাবৃত্তি হবে না তো! ডিভিসি কি আবার জল ছাড়বে? আশঙ্কায় তটস্থ বর্ধমান, বাঁকুড়া, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলির নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা।
ঘূর্ণিঝড় দানার দাপটে মঙ্গলবার রাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গে। বুধবার থেকে বৃষ্টির তীব্রতা বাড়ে। যার জেরে বাঁকুড়ার সারেঙ্গা, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, মোহনপুর, দাঁতন, ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর, পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার একাংশে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
শনিবার ঝাড়গ্রাম ও দুই মেদিনীপুর ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাতেও।
এরই মাঝে বুধবার ডিভিসি ২৪ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছিল। ফের যদি ডিভিসি জল ছাড়ে তাহলে এক মাসের ব্য়বধানে ফের বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা।
হঠাৎ এমন আশঙ্কা কেন করছেন বাসিন্দারা? তাঁদের কথায়, "ডিভিসি তো আগে থেকে বলে কয়ে জল ছাড়ে না। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি যখনই নদী ফুলে ফেঁপে ওঠে তখনই ওরা জল ছেড়ে দেয়!"
বস্তুত, শুক্রবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে এব্যাপারে ফের ডিভিসিকে তোপ দেগেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, "আমাদের এখানে বন্যা হয় না। পরিকল্পিতভাবে ডিভিসি জল ছাড়লে তবেই বন্যা হয়।" ক্ষুব্ধ মমতা এও বলেন, "ঝাড়খন্ডে বৃষ্টি হলে আবারও জল ছাড়বে। বাংলাটা যেন ওদের জল হজম করার জায়গা হয়ে গেছে।"
পুজোর মুখে ডিভিসির ছাড়া জলে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সে সময় ক্ষুব্ধ মমতা ডিভিসির সঙ্গে বাংলার সম্পর্ক ত্যাগের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। না জানিয়ে জল ছাড়ার অভিযোগে ডিভিসির কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন বাংলার প্রতিনিধি। কেন্দ্রীয় সরকার গোটা বিষয়টি নিয়ে কেন উদাসীন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা।
মমতার বক্তব্য ছিল, ''রাজ্যকে বিপদে ফেলতে ইচ্ছাকৃতভাবে এসব করা হচ্ছে। আর গোটা বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার উদাসীন।।'
ডিভিসির জলধারণ ক্ষমতা নিয়েও সে সময় প্রশ্ন করেছিলেন মমতা। তিনি বলেন, "ডিভিসির জলধারণ ক্ষমতা আগের থেকে ৩৬ শতাংশ কমে গেছে। ড্রেজিং না করার জন্যই এমন হয়েছে। আর কেন্দ্রীয় সরকার এ ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ নেয় না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেও কোনও লাভ হয়নি।" তবে এ ব্যাপারে ডিভিসির কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি।